বরিশালের গৌরনদীতে নারীকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা আহত নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
গত শনিবার বিকালে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল গ্রামে সংঘটিত এ ঘটনায়, ঐদিন রাতেই গৌরনদী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী থানার এসআই শাহজাহান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত নারী ডালিয়া বেগম জানান, কটকস্থল গ্রামের সৌদি প্রবাসী হেমায়েত হাওলাদারের সাথে তার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।
তাদের দাম্পত্য জীবনে দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
২০১৮ সালে প্রবাস থেকে ছুটিতে এসে পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার ভাল্লুকশী গ্রামের মাসুদা নামের এক নারীর সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত হয় হেমায়েত। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। পরবর্তীতে হেমায়েত সৌদি আরবে চলে যায়। গত দুই বছর যাবত তার (ডালিয়া) ও সন্তানদের কোন খোঁজখবর রাখতেন না স্বামী হেমায়েত।
পরবর্তীতে ২০২০ সালে হেমায়েতকে ডিভোর্স দেয় সে (ডালিয়া)। এরইমধ্যে পরিকয়া প্রেমিকা মাসুদাকে মোবাইল ফোনেই বিয়ে করে হেমায়েত।
ডালিয়া আরও জানান, স্বামীকে ডিভোর্স দেয়া হলেও তাদের বড়পুত্র নিজ পিতা (হেমায়েত) বাড়ীতে বসবাস করায় মাঝে মধ্যে সন্তানের খোঁজখবর নিতে ওই বাড়ীতে যাওয়া হতো। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকেলে রোজাদার অবস্থায় ছেলের খোঁজখবর নিতে সাবেক স্বামী হেমায়েতের বাড়িতে যায় ডালিয়া। ঐ বাড়ীতে যাওয়া মাত্রই ডালিয়াকে গাছের সাথে বেঁধে অমানুষিক ভাবে নির্যাতন চালায় হেমায়েত হাওলাদারের ভাতিজা রহমান হাওলাদার, ভাবি রাবেয়া বেগম, হেমায়েতের দ্বিতীয় স্ত্রী মাসুদা বেগম ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী মাসুদ।
একপর্যায়ে তাকে (ডালিয়া) কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রাখে।
এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি এবং পুলিশকে অবহিত করেন।