নাটোরের বড়াইগ্রামে যৌতুকের বলি হওয়া গৃহবধু হাফিজা (২০) হত্যার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও পরিবারের মামলা নিতে টালবাহানা করছে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। গৃহবধু হাফিজার পরিবারের অভিযোগ নির্যাতন করেই হত্যা করা হয়েছে হাফিজাকে।
এদিকে সুরত হাল রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে স্বাভাবিক মৃত্যু। কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে মৃত্যুর পরে তার শরীরের একাধিক যায়গায় কালশিরা ও গুরুতর জখমের দাগ দেখা গিয়েছিল।
নিহতের বড় ভাই রায়হান কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার বোন হত্যার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত হত্যা মামলা নেয়নি বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ। তারা মামলা নিতে বিভিন্ন টালবাহানা করছে। আমরা আমার বোনের হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও শাস্তি দাবী করছি।
হাফিজার বাবা মমিন উদ্দিন বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ের পর থেকেই নির্যাতন করে তার স্বামী। আমরা খবর পেয়েছি তাকে শারিরীক নির্যাতন করে গ্যাস ট্যাবলেট খাইয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে তারা।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক জানান, এ ধরনের অন্যায় কাজ আমার থানায় হয় না। সবাই আইনের সেবা পাবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মাঝগ্রাম ইউনিয়নের আটুয়া রাকুর মোড় এলাকায় গৃহবধু হাফিজা খাতুনের সন্দেহ জনক মৃত্যু হয়। সে ঐ গ্রামের হাসান মাসুদের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী।