আগামীকাল (২৬ এপ্রিল) থেকে দেশে প্রথম ডোজের টিকাদান বন্ধ তবে যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদেরকে সময় মতোই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনা হচ্ছিলো যে হারে টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে, তাতে মজুদ টিকা যেকোনো সময় শেষ হয়ে যেতে পারে। এদিকে, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া থেকে কেনা টিকার পরের চালান কবে আসবে তা অনিশ্চিত।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, গত ৭ই ফেব্রুয়ারি গণ টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬১ জন টিকা নিয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৯৭৮ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।
সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ। ওই টিকা সরবরাহের দায়িত্বে আছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।
চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ দেশে এলেও বিপুল চাহিদা আর বিশ্বজুড়ে টিকার সঙ্কটের মধ্যে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ পেয়েছে মাত্র ২০ লাখ ডোজ টিকা। এরপর আর কেনা টিকা আর আসেনি।
এ পর্যন্ত থেকে ১ কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা এসেছে। এর মধ্যে ভারত সরকার বাংলাদেশকে দুই দফায় উপহার হিসেবে দিয়েছে মোট ৩২ লাখ ডোজ, সেগুলোও সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, যার মধ্যে ১২ লাখ ডোজ এসেছে গত ২৬ শে মার্চ।
সে হিসাবে এখন মজুদ আছে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৯ ডোজ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেছেন, এখন যে টিকা আছে তাতে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত দেওয়া যাবে। এরই মধ্যে নতুন টিকা আনার বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে।
দৈনিক গড়ে টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ৪৯৫ জন। সে হিসেবে মজুদ ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৩৯ ডোজ টিকা মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হয়ে যেতে পারে। চুক্তি অনুযায়ী আর কোন টিকা পায়নি বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
“পর্যায়ক্রমে দেশের সবাই টিকা পাবে” – প্রথম টিকা গ্রহীতা কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।