আজ শনিবার রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সারোয়াতুলী ইউনিয়নের জুম্মদের গ্রামে হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুই ব্যক্তিকলহকে কেন্দ্র করে আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরীর নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক হামলা করেছে।
নব করুণাপুর বৌদ্ধ বনবিহার ভাঙচুর
এই হামলায় তিনজন জুম্ম(চাকমা) মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঐ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সকাল আনুমানিক ৯টার সময় কালাচোখা চাকমা বাগান টিলাতে গরু চরাতে যায়। সেটেলার বাঙ্গালী মোঃ রব মিয়া কালাচোখা বাধা দিলে দুইজনের মধ্যে বাক্য বিতণ্ডা হয়। তখন সেটেলার বাঙ্গালী মোঃ রব মমিয়া কালাচোখাকে প্রাণনাশের হুমকি দে। এরপরে বিকাল ৩টার দিকে আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী নেতৃত্বে একদল লোক জীপ গাড়ীযোগে এসে পূর্ন চন্দ্র চাকমার দোকানে হামলা ও লুঠপাট করে।
হামলা ও লুঠপাটের সময়ে তারা জয় সিং চাকমার ছেলে পূর্ন চন্দ্র চাকমা(৫৫), রমেশ চাকমার ছেলে শান্ত চাকমা(২০) এবং মতিলাল চাকমার ছেলে ও বর্তমান ইউপি মেম্বার তুষার বিন্দু চাকমাকে(৫৫) মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে।
তারা আরও জানায়, সেটেলারদের বস খ্যাত এলাকার চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী আনুমানিক বিকাল ৩টার দিকে এলাকার মেম্বার বিন্দু চাকমার ঘরে যায়। কয়েকমিনিট বাদে তার ৩ মিনিট পর এক বাঙালি সেটেলার গিয়ে মেম্বারকে মারধর শুরু করে। পাশের এক দোকানদার ‘কেন তাকে মারতেছে?’ জিজ্ঞাসা করলে দোকানদারকেও মারধর করে এবং দোকান থেকে নগদ ২৫০০০ টাকা ক্যাশ ছিনিয়ে নেয়। দোকান ভাঙচুর করে ভেতরে থাকা জিনিসপত্র নিয়ে লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এছাড়াও সন্ত্রাসীরা স্থানীয় বৌদ্ধ মন্দির ‘নব করুণাপুর বনবিহারে’ হামলা ও ভাঙচুর করেছে বলে জানা গেছে।
‘শালার পাহড়ি একটাকেও ছাড়বোনা। সবাইকে বন্দুক দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলবো। কেউ কিছু বলবেনা।’- বিজিবি এমন হুমকী দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
বৌদ্ধ মন্দিরের ভান্তে চুলাকাল ভিক্ষু জানান, ২০/২৫ জনের একটি দল এসে মন্দিরে হামলা চালায়। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে।
এই ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তোজনা বিরাজ করছে এবং পাহাড়িরা চরম আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।