নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ৪র্থ শ্রেনীর এক ছাত্রীর ঘরে ঢুকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। থানায় মামলা করতে চাইলে ও বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত কে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সালিশকারীরা সেই টাকার দুইভাগ স্থানীয় দুই মসজিদে এবং একভাগ ভুক্তভোগীর মাকে দিতে চায়। স্থানীয় সালিশে যথাযথ বিচার না পেয়ে, পরে ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুব উল আলম জানালে তিনি সিংড়া থানায় অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে সিংড়া থানায় মেয়ের মা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে এখনো কোনো আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। গত ১৭ এপ্রিল দুপুর ১২ টার সময়ে উপজেলার চামারী ইউনিয়নের হাসিঘাটি গ্রামে ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থীর মা পার্শবর্তী বাগানে গেলে, এ সুযোগে প্রতিবেশী হারেজ উদ্দিনের পুত্র সজিব ঘরে প্রবেশ করে ঐ শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের চেষ্টা করতে থাকে, এমতাবস্থায় ভুক্তভোগীর মা ফিরে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পায়। তিনি দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পায়, তার মেয়ের মুখ চেপে ধরে ধর্ষনের চেষ্টারত ঐ যুবককে দেখতে পায়। পরে তিনি ঐ যুবককে ধরে টেনে বাইরে নিয়ে আসে।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় ভাবে শহীদুল, সাদ্দাম, রুপলাল সহ গ্রাম্য প্রধানরা সালিশে ঐ যুবককে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। স্থানীয় ২টি মসজিদে ১০ হাজার এবং মেয়ের মাকে ৫ হাজার টাকা দিতে চায়। পরে শুক্রবার মেয়ের মা সাথী খাতুন বাদী হয়ে সিংড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যপারে সিংড়া থানার অফিস ইনচার্জ নুরে আলম জানান এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।