কোর্ট হাজতখানায় স্বামীকে ইয়াবা দিতে গিয়ে স্ত্রী গ্রেপ্তার

নিজস্ব সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
2 মিনিটে পড়ুন
ছবি সংগৃহিত

দিনাজপুরে চুরি মামলার এক হাজতি স্বামীকে শুকনা খাবারের সঙ্গে মাদকদ্রব্য দিতে গিয়ে ১৬টি ইয়াবাসহ স্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিনাজপুর পুলিশ কোর্টের হাজতখানায় স্বামীকে ইয়াবা দেওয়ার সময় গ্রেপ্তার হয় রুজিনা বেগম রিক্তা (২৫)। তিনি পাবর্তীপুর উপজেলার সাহেবপাড়া গ্রামের মিলন রহমানের (২৭) স্ত্রী।

পুলিশ কোর্টের হাজতখানায় ইয়াবা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ওসি আবু ইমাম জাফর জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিনাজপুর পুলিশ কোর্টে একটি চুরি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া মিলন রহমানকে (২৭) পুলিশ কোর্টের হাজতখানায় নিয়ে আসা হয়। এ সময় তার স্ত্রী রিক্তা শুকনা খাবার দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে যান। হাজতখানায় ডিউটিতে থাকা পুলিশ ওই শুকনা খাবার দিতে না চাইলে তিনি কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলামের কাছে যান এবং তার স্বামীকে খাবার দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এ সময় শুকনা খাবারগুলো যাচাই করতে গিয়ে চিড়ার মধ্যে ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যাওয়া।

- বিজ্ঞাপন -

আবু ইমাম জাফর আরো জানান, এই ঘটনায় রুজিনা বেগম রিক্তাকে ডিবি পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ডিবি পুলিশের এসআই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঐদিন দুপুরেই রুজিনাকে সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইসলমাইল হোসেনের আদালতে হাজির করা হয়।

ডিবি পুলিশের সুত্রে জানা যায়, রুজিনা বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেছেন, তার স্বামী মিলন মাদকাসক্ত। মাদক সেবন না করলে সে শারীরিকভাবে অস্থির হয়ে যান এবং তার শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি হয়। স্বামীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার পুলিশ কোর্টে হাজতখানায় দেখা করলে যেখান থেকে হোক ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে দিতে বলে। বিচারক রুজিনার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!