সোনারগাঁয়ে রিসোর্টকাণ্ডের পর হেফাজতে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক নারী সহ অবরুদ্ধ হওয়ার পরে তিনি ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা মুখে পড়েছে। সৎ মা’কে বিয়ে করেছেন মামুনুল হক মর্মে বোমা ফাটালেন বামপন্থী সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি (এম)’র জেনারেল সেক্রেটারী ডা. আব্দুস সামাদ। ২০শে এপ্রিল ভোর বেলায় ফেসবুকের ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তিনি।
কমরেড ডা. আব্দুস সামাদ নিজ ফেসবুক আইডির ভিডিও বার্তায় বলেন, আল্লামা মামুনুল হকের পিতা শায়খুল হাদিস আজিজুল হক ফারাহানা নাম্নী এক নারীকে বিবাহ করেছিলেন। আজিজুল হক ঐ নারীকে তালাক দেবার পরে তিনি সৎ মা’কে (ফারহানা) বিয়ে করেছিলেন আল্লামা মামুনুল হক। সেই ফারহানা এখন আমেরিকা থাকেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, নব্বই এর দশকে শায়খুল হাদিস আজিজুল হকের সঙ্গে ট্যাঁর পরিচয় ঘটে। এরপরে যাত্রাবাড়ীতে আজিজুল হকের মাদ্রাসায় প্রায়ই যেতেন এবং ধর্মের নানা দিক নিয়ে কথা হতো তাদের মধ্যে।
আজিজুল হক অপ্রাপ্ত বয়স্ক ফারহানাকে বিয়ে করা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হলে, তিনি (আজিজুল হক) একটি হাদিসের উদবৃতি দিয়ে বলেছিলেন, আমাদের নবীজী সাত বছর বয়সই মা আয়েশাকে বিবাহ করেছিলেন। আমরা মুরতাদদের আইন মানি না। সেসময় বাংলাদেশে প্রচলিত ১৯৭৪ সালের বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইনকে মুরতাদের আইন বলে আখ্যায়িত করেছিলেন আজিজুল হক।
কমরেড ডা. আব্দুস সামাদ ভিডিও বার্তায় আরও বলেন, শায়খুল হাদিস আজিজুল হকের মৃত্যুর পুত্র মামুনুল হক তার সৎ মা’কে (ফারহানা) বিবাহ করেছিলেন। ২০১৪ সালে সৎ মাকে বিয়ে করা নিয়ে একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, আল্লাহ’র রাসুল তার পুত্রবধূকে বিবাহ করেছিলেন। তালাক হওয়ার পরে সৎ মা’কে বিবাহ করা জায়েজ আছে। যেহুতু তার সৎ মা তার গর্ভধারিণী মা নন এবং তার পিতা আজিজুল হক তাকে তালাক দিয়েছেন।
ভিডিও বার্তার সর্বশেষে তিনি বলেন, সত্য ঘটনা আমি প্রকাশ করলাম, যদিও সত্য প্রকাশে ঝুঁকি আছে। তবুও ঝুঁকি নিয়েই সত্য কথা প্রকাশ করলাম।