নাটোরের বড়াইগ্রামের উপজেলার ৪ নং নগর ইউনিয়নের থানায়খাড়া গ্রামের মৎস্য পাড়াতে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে একই গ্রামের মোসলেমের পুত্র মদন। এ বিষয়ে অভিযোগকারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিগত পাঁচ বছর ধরে এমন ভাবে সব সময় রাস্তাঘাটে পথরোধ করে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। এমন কি রাতেও বাড়িতে এসে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ঐ ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগী ঐ নারী বলেন, এলাকার মাতবরেরা কয়েক দফায় গ্রাম্য সালিশ হলেও মদন প্রভাবশালী হওয়ার কারণে সালিশীতে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, গত শুক্রবার ভোর রাতে সেহেরি রান্নার জন্য উঠে রান্না করতে গিয়েছিল, এমন সময় মদন ও দুলাল এসে হাত ধরে টানাটানি করে। আমি তাহার কথায় রাজি না হলে আমাকে জোর করে ধরে নিয়ে যাবার চেষ্টা করে, এমন সময় আমার সাথে জোর পূর্বক টেনে নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে আমার শরীরের জামা ছিঁড়ে যায়। এ সময় আমি চিল্লাপাল্লা করলে বাড়ির সবায় জেগে উঠে। তখন মদন ও দুলাল পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে সরজমিনে দুলালের কাছে জানতে চাইলে দুলাল পালিয়ে যায়। দুলালের চাচাত বোন সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য বাড়ির মধ্যে ডেকে নিয়ে যায়। সাংবাদিকদের টাকা লোভ দেখিয়ে উৎকোচ গ্রহণের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ার কারণে সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় মদনের চাচাতো বোন মারজান।
এদিকে অভিযোগকারীকে অভিযোগ তুলে নিতে নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইয়সিন আলি সরকার চাপ দিচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। বিবাদীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মিমাংসার কথাও শোনা যাচ্ছে এলাকা জুড়ে।
এ বিষয়ে অত্র এলাকার চেয়ারম্যান নিলুফা ইয়াসমিন ডালুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অপরাধীর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানাই।
এবিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা করবো।