ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের পর এবার লাইভে এসে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। গত ১৬ই এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তার জন্য ক্ষমা চেয়েছে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের শীর্ষ নেতা নুরুল হক নুর।
‘নানান মানুষ নানান মত, দেশ বাঁচাতে ঐক্যমত। সার্বিক পরিস্থিতিতে উদ্দেশ্য বার্তা’ ক্যাপশনে এসে তিনি লাইভে এসে বলেন, গত ১৬ তারিখ একটা লাইভে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে কথা বলেছি। ১ ঘন্টা ১৬ মিনিটের ওই লাইভে আমি বিভিন্ন কথা বলেছি। সে প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন অধিকার, ঘুম, অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়নের বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করার জন্য আমার রাগ, ক্ষোভ, আবেগ-অনুভূতির জায়গা থেকে আমি কিছু কথা বলেছিলাম। তিনি বলেন, আমার কথায় যদি কেউ দুঃখ পেয়ে থাকেন, কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।
রোববার (১৮ এপ্রিল) শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের বিষয়ে তিনি বলেন, সেই ঘটনাকে পুঁজি করে মামলা করা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, হয়রানি করার উদ্দেশ্য মামলা করা একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে হচ্ছে। আওয়ামী লীগে ধর্মপ্রাণ মানুষ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলাম, আমি মনে করি অবশ্যই আওয়ামী লীগে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ আছে, ধর্মপ্রাণ মুসলমান আছে, ধর্মপ্রাণ হিন্দু ভাই-বোন, বৌদ্ধ ভাই-বোন, খ্রিষ্টান ভাই-বোন আছে। ঠিক একইভাবে অন্যান্য দলেও সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষ আছে। সেক্ষেত্রে ঢালাওভাবে আওয়ামী লীগের বা আওয়ামী সমর্থকদের আক্রমণ করে কোন কথা বলিনি।
https://www.youtube.com/watch?v=iCbEqa62vhs&ab_channel=%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%80-Samoyikiনুর বলেন, আমি অনেকের পরামর্শ নিয়ে থাকি। কেউ কেউ আমাকে বলেছিলেন গত ১৬ মার্চের লাইভে যা বলেছি একজন নেতৃত্বশীল জায়গা থেকে আমাকে একটু সহনশীল হতে হবে। এমনকি শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করে কোনও কথা বলা আমার জায়গা থেকে কাম্য নয়। কিছু কিছু কিছু কিছু কথা সাধারণ মানুষ তার জায়গা থেকে বলতে পারে, আমি আমার জায়গা থেকে বলতে পারি না। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগে আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছে। ডাকসু নির্বাচনের সময় আমাকে ছাত্রলীগের অনেকেই ভোট দিয়েছে। সুতরাং সেই জায়গা থেকে আমি এমন কিছু বলবো না যাতে তারা ক্ষুব্ধ হয় কিংবা আমার প্রতি বিরাগভাজন হয়।
তিনি বলেন, বিনয়ের সাথে আমি সেটার জন্য ক্ষমা চাইবো। আমার ভুল হলে তার জন্য আমি ক্ষমা চাই। সেটা আমি আগেও চেয়েছি। এখনও বলছি, সেদিনকার বক্তব্যের কারণে যেকোন ভাই-বন্ধু, শুভাকাঙ্খী যদি মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন আমি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। রাজনৈতিক অঙ্গনের একজন নবীন নেতা হিসেবে, তরুণ ছাত্র নেতা হিসেবে প্রতিকুল সময়ে আমাদের কাজগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানি করা আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে তার প্রেক্ষিতে আমার লাইভে আসা।