করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি ডেঙ্গু কিংবা জিকার মতো প্রাণঘাতী রোগ ছড়ানো এডিস মশা নিধন অভিযান শুরু করেছে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
১৭ এপ্রিল রোজ শনিবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মিশন রোড আবাসিক এলাকায় প্রত্যেক অলিগলিতে ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো.জহিরুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো.ছাদ উদ্দিন, প্রধান অফিস সহকারী অসীম রায়।
এর আগে এই কার্যক্রম শুরু হয় গত ৭ এপ্রিল থেকে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম শুরু করে। মশা নিধনের অভিযান উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মো. মহসিন মিয়া মধু ।
মশা নিধন কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো.জহিরুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো.ছাদ উদ্দিন, কাউন্সিলর মিল্লাত হোসেন ও মীর এম এ সালাম, প্রধান অফিস সহকারী অসীম রায়, পৌরসভার ঠিকাদার মো. কতুব উদ্দিন ও ফয়সল আহমদ প্রমুখ।
শ্রীমঙ্গল মেয়র মহসিন মিয়া মধু বলেন, হঠাৎ শহরে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌরসভার পক্ষ থেকে ৯ টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
মেয়র আরও জানান,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সকলকে মাস্ক ব্যবহার ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অহেতুক ঘরের বাইরে না যেতে অনুরোধ করেন তিনি পৌরবাসীকে।
সারা বছর জুড়েই নগরবাসীকে মশার কামড় খেতে হয়। শহরের এখানে-ওখানে খানাখন্দ, খোলা ম্যানহোল, নালা, নর্দমা, নির্মাণাধীন ভবন, যেখানে সেখানে আবর্জনায় ভরা স্তুপে স্থান সমূহে মশা বংশ বিস্তার করে। এসব মশা থেকেই প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ নানা প্রকারের রোগে আক্রান্ত হয়ে চলেছে। এসব রোগে মৃত্যুর হারও কম নয়। বসন্তকাল থেকে শুরু হয় মশাবাহিত অসুখ-বিসুখের প্রকোপ, বর্ষাকালে সবচেয়ে বাড়ে। মশার কামড় থেকে আত্মরক্ষাই সবচেয়ে বড় সমাধান বলে মনে করেন নগরবাসী।