বরিশালে লকডাউনে আগের চেয়ে বেশী রিকশা, ব্যাক্তিগত গাড়ী রাস্তায় দেখা গেছে। অধিকাংশ দোকানপাট, বিপনী বিতান বন্ধ থাকলেও প্রধান বাজার গুলিতে কিছুটা ভীড় লক্ষ্যকরা গেছে। তবে পুলিশকে আগের চেয়ে তৎপর হতে দেখা গেছে। পুলিশ রিকশা থাকালেও চলাচল একবারে বন্ধ করেনি।
নগরীরর প্রবেশদ্বারগুলি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় জিরোপয়েন্ট, চৌমাথা, গড়িয়ার পাড় ও কালিজিরা এলাকায় প্রত্যেক ব্যাক্তিগত ও অফিসিয়াল ও জরুরী পণ্যবাহী ট্রাককে চেক করতে পুলিশ কে দেখা গেছে। অনেকেই ব্যাক্তিগত গাড়ি নিয়ে এস পুলিশী জেরার মুখে পড়েন। তবে সঠিক কারণ দেখা মাত্র পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।
নগরীরর প্রধান বাজার, ফল , নিত্যপয়োজনীয় ও মাছের আড়তগুলিতে কেনাবেচা করতে দেখা গেছে। পন্যবাহী ট্রাক চলাচল করতেও দেখা গেছে। ফুটপাতে আগের বেশী হকারদের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। অনেকেই রমজানের কথা বলে ফুটপাতে খাবার বিক্রি করছে। নগর জুড়ে এ্যাম্বুলেন্স এর দ্রুত চলাচল আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেশী বেড়েছে।
নগরীরর ফলপট্টি এলাকার হকার জানান মনির জানান, বেচাকেনা না করলে কি খামু? তিনি জানান তিনি সকাল থেকে ইফতারির সময় পর্যন্ত বেচাকেনা করেন। নগরীরর সবচেয়ে জন ভীড়ে আক্রান্ত এলাকা বাজার রোড, ফলপট্টি, পোর্ট রোড,গীর্জা মহল্লা এলাকা।
তরমুজ ব্যবসায়ী গণেশ দত্ত জানান, এখন তরমুজের সিজন। বিক্রি করতে না পারলে তরমুজ পচে যাবে, অথচ ক্রেতাও আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। সড়কপথে কড়াকড়ি থাকায় অনেকে ট্রলার নিয়ে নৌপথে দূরে দূরে গন্তব্যে যাচ্ছে বলে লঞ্চ পরিহনের সাথে জড়িতরা জানিয়েছেন।
বরিশালের পদ্মাবতী এলাকার দর্জি মনসুর জানান, ঈদের আগেই তাদের প্রচুর কাজ থাকতো যা দিয়ে তারা কয়েক মাস চলতেন। এবার এই লকডাউনে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সবচেয়ে বেশী।
নগরীর পোর্ট রোডের ইলিশ শ্রমিক লোকমান হোসেন জানান, কি ভাবে লকডাউনের মধ্যে চলবেন সেই চিন্তায় আছেন। প্রতিদিনই কাজের আশায় অসলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোন কাজ নেই তার।
লকডাউনের মধ্যে স্বাস্থ্যাবিধি ভাঙ্গায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুমানা আফরোজ ও অংমাচিং মারমা, ১০ ব্যাক্তিকে ২২২০ টাকা জরিমানা করেন।