চাঁদের ফাঁদে তারাবিহ, রোজা, ফেৎরা ও ঈদ। রোজাদাররাও চাঁদের চাঁদনী খেলায় দিকভ্রান্ত; দলে-উপদলে বিভক্ত। “চাঁদ দেখে রোজা ও ঈদ” করার গোলকধাঁধায় পড়ে তারা কানামাছি ভোঁ ভোঁ খেলছে। যারফলে; কিছু লোক তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনোদনের নতুন মাত্রা যোগ করলেও অধিকাংশ মানুষ হয় দুর্ভোগের শিকার। এই প্রবন্ধটি পাঁচ পর্বে শেষ করা হয়েছে। এটি প্রথম পর্ব।
বাংলায় চাঁদের অনেক প্রতিশব্দ আছে; তেমনই আরবিতেও চাঁদের অনেক প্রতিশব্দ আছে। তারমধ্যে; হেলাল (هلال), বদর (بدر) ও ক্বমরই (قمر) উল্লেখযোগ্য।
চাঁদ বি ইন্দু, চন্দ, চন্দন, চন্দমা, চন্দা, চন্দ্র, চন্দ্রমা, চন্দ্রসুধা, চন্দ্রিমা, চাঁদ, চাঁদা, চাঁদিমা, চান্দ, চান্দা, নক্ষত্রনাথ, নক্ষত্রপতি, নক্ষত্ররাজ, নিশাকর, নিশাকান্ত, বিধূ, মৃগাঙ্ক, রাকাপতি, রাকেশ, শশী, শশধর, শশাঙ্ক, সুধাংশু, সুধাকর ও হিমাংশু।
সাধারণভাবে আরবরা এক হতে তিন দিনের সরু অর্ধচন্দ্রকে হেলাল (هلال) নামে ডাকে। পূর্ণিমার পূর্ণ গোলককে বদর (بدر) নামে ডাকে। এছাড়া; তারা সারা মাসের চাঁদকে ক্বমরই (قمر) নামেই ডাকে।
যেমন বদর দ্বারা একটি আরবী ক্বাসিদা (قصيدة العربية) হলো;
“طلع البدر علينا, من سانية البداع” [তালা আলবাদরু আলাইনা মিন সানিয়াতিল বিদা]
“وجب الشكر علينا, ما دعا لله داع” [ওয়াজাবাশ শুকরু আলাইনা, মা দা’আ লিল্লাহি দা]
“أيها المبعوث فينا, جئت بالأمر المطاع” [আইয়্যুহাল মাব উসু ফি-না, জি’তা বিল আমরিল মুতা]
“جئت شارادا المدينة, مرحبا يا خير داع” [জি’তা শাররাদ্দাল মাদিনা, মারহাবান ইয়া খাইরা দা।]
‘سانية’ বি জল বহনকারী উট, বড় বালতি {আ. (আল কাওসার-২৩৬ পৃষ্ঠা)}
‘بداع’ বি উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা {আ.}
‘سانية البداع’ বি জল উদ্ভাবন স্থান {আ.}
অর্থ (Meaning)
আমাদের ওপর পূর্ণিমার চাঁদ উদিত হয়েছে। অমৃতজল উদ্ভাবক স্থান হতে।
ততদিন আমাদের কৃতজ্ঞতা করা আবশ্যক। যতদিন কাঁইয়ের আহবানকারী থাকবেন।
হে আমাদের মাঝে প্রেরিত প্রিয়জন! আপনি বাধ্যতামূলক আনুগত্যের নির্দেশ নিয়ে এসেছেন।
এসেছেন নগরের অকল্যাণ দূর করতে। স্বাগতম! হে সর্বোত্তম পথের প্রতি আহ্বানকারী।
ব্যাখ্যা (Explanation)
তৃতীয় খ্রিস্টাব্দে রচিত একটি আরবি কবিতা এটি। এর রচয়িতা সম্পর্কে এখনও ভালোভাবে জানা যায় নি।
যেমন হেলাল দ্বারা একটি আরবী ক্বাসিদা (قصيدة العربية) হলো;
“تبارك ربي؛ ما أهلَّ هلالُه [তাবাররাকা রাব্বি, মা আহলি হিলালা]
بدار الهدى إلا تبسَّم واعِدا” [বিদারুন আলহিদা, ইল্লা তাবাস্সুম ওয়া ইদা]
((هلال رمضان ( قصيدة)/ (কবি; ইসা আল নাছেশ)
অর্থ (Meaning)
“আমার প্রভুর ধন্যবাদ! সেই নতুন চাঁদ জাতি
সঠিক পথের ঘর, আশাপ্রদ মুচকি হাসি।”
ক্বমর দ্বারা একটি আরবী ক্বাসিদা (قصيدة العربية) হলো;
“الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ بِحُسْبَانٍ” [আশশামসু ওয়া আলক্বামারু বিহুসবান]
অর্থ (Meaning)
“চন্দ্র ও সূর্য একই কক্ষপথে ভ্রাম্যমান।”
‘কোন পঞ্জিকার কোন দিবসে বিশ্বনবীর জন্ম হয়
শাস্ত্রে দেখায় সৌর চান্দ্র পঞ্জিকা অনুসারে জন্ম
দেহ পঞ্জিকার কথা কয় জন কয়।’ -বলন কাঁইজি
সারা বিশ্বের সব শ্বরবিজ্ঞান ও পুরাণে মানুষে বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু ও ইন্দ্রিয়াদিকে চাঁদ বলা হয়। গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় বিশ্বের কোনো সাম্প্রদায়িক শ্বরবিজ্ঞান ও পুরাণে সৌরজগতের উপগ্রহকে চাঁদ বলা হয় নি। বরং চাঁদ বা চন্দ্র বলা হয় মানুষে বিদ্যমান কোনো না কোনো বিষয়বস্তু ও ইন্দ্রিয়াদিকে। এছাড়াও; শ্বরবিজ্ঞান, পুরাণ ও মরমী বাণীতে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তুকে চাঁদ বা চন্দ্র বলা হয়। যেমন; গুরু চাঁদ, নয়ন চাঁদ, শিষ্য চাঁদ ইত্যাদি।
সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত তিন প্রকার পঞ্জিকার গণনার ব্যবহার দেখা যায়। যথা; ১. সৌর পঞ্জিকা ২. চান্দ্র পঞ্জিকা ও ৩. দেহ পঞ্জিকা। সৌর ও চান্দ্র পঞ্জিকার গণনা স্থানীয় ভাবে ভিন্ন ভিন্ন। আর এই দুইটি পঞ্জিকা দ্বারা কেবল সাধারণ সাহিত্য ও সাধারণ গণনা পরিচালিত হয়।
অন্যদিকে; দেহ পঞ্জিকার গণনা সারা বিশ্বের সর্বত্রই এক ও অভিন্ন। সেজন্য; দেহ পঞ্জিকা ব্যবহার করে নির্মাণ করা হয় শ্বরবিজ্ঞান, পুরাণ ও মরমী বাণী। তাই; এগুলোর তথ্যসূত্র একমাত্র মানবদেহ। অর্থাৎ; মানবদেহকেই দেহ পঞ্জিকা বলা হয়। মানবদেহকে দেহ পঞ্জিকা বলার কারণ অনেক। আর দেহকে পঞ্জিকা রূপে ব্যবহার করার উপকারও অনেক। দেহে যে দিবস, ক্ষণ রয়েছে তা বিশ্বব্যাপী এক ও অভিন্ন। যখন সৌর ও চান্দ্র পঞ্জিকার আবিষ্কার হয় নি; তখন মানুষ কেবল দেহ পঞ্জিকা ব্যবহার করতো। দেহ পঞ্জিকা ব্যবহার করেই বিশ্বের সব সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক শ্বরবিজ্ঞান, পুরাণ ও মরমী বাণী নির্মিত হয়েছে। কিন্তু হাস্যকর বিষয় হলো; বর্তমানের শাস্ত্রীয় পণ্ডিত, গবেষক, অনুবাদক, অভিধানবিদ, লেখক, বৈখ্যিক, টৈকিক ও গীতিকাররা শ্বরবিজ্ঞান, পুরাণ ও মরমী বাণীর দিন-ক্ষণ সৌর ও চান্দ্র পঞ্জিকা অনুসারে বুঝেন ও বুঝান। যারফলে; এখন সাম্প্রদায়িক, পারম্পরিক ও গুরুবাদী বিভাগ এতই লেজে গোবরে যে; সাধারণ মানুষ প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সত্যে উপনীত হতে পারছে না।
দেহ পঞ্জিকার গণনা (Calculation of body almanac)
বলন কাঁইজির নির্মিত আধ্যাত্মিক সূত্রাবলী গ্রন্থে প্রায় ৯৯টি আধ্যাত্মিক সূত্রের সন্ধান পাওয়া যায়। এই সূত্রাদির সাহায্যে দেহ পঞ্জিকা পাঠ করা হয়। অতঃপর; এসব সূত্রের সাহায্যে বিশ্বের সব সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক শ্বরবিজ্ঞান, পুরাণ ও মরমী বাণী নির্মাণ করা হয়। তাই; এসব সূত্র দ্বারাই এসব পুস্তক-পুস্তিকা পাঠ করতে হয়। দেহ পঞ্জিকার গণনা দ্বারা নির্মিত পুস্তক-পুস্তিকার ব্যাখ্যা সৌর ও চান্দ্র পঞ্জিকা দ্বারা করা যাবে না। নিচে দুইটি সূত্রের ব্যবহার দেখানো হয়েছে।
পৌরাণিক পুরুষ-নারী সূত্র (Mythological male-female formula)
‘প্রবল কোনো সত্তাকে পুরুষ ধরতে হলে অবশ্যই সমগোত্রীয় অপেক্ষাকৃত দুর্বল কোনো সত্তাকে নারী ধরতে হবে।’
সারাবিশ্বের সর্বপ্রকার শ্বরবিজ্ঞান, পুরাণ, মরমী গীতি এবং সাম্প্রদায়িক-পারম্পরিক শাস্ত্রীয় পুস্তক-পুস্তিকায় পুরুষ ও নারী পরিভাষা দুটির অসংখ্য ব্যবহার দেখা যায়। আর সাধারণত সাম্প্রদায়িক-পারম্পরিক ঠাক-পুরুৎ, মোল্লা-মুন্সি, প্রেমিক, অনুসারী, অনুরাগী, পাঠক, শ্রোতা, বক্তা, ওয়ায়েজিন, আলোচক, পালাগান গায়ক, বৈখ্যিক, টৈকিক, অভিধানবিদ ও অনুবাদকরা উক্ত পুরুষ ও নারী পরিভাষা দুটির দ্বারা কেবল পুরুষজাতি ও নারীজাতিকে বুঝে ও বুঝিয়ে থাকে। কিন্তু পৌরাণিক বিশ্বে পুরুষ পরিভাষাটি দ্বারা কখনই কেবল পুরুষকে যে বুঝানো হয় না; বরং ক্ষেত্রবিশেষে আকাশ, আত্মা, গুরু, গোরু, জ্ঞান, পিঙ্গলা ও যৌবনকাল ইত্যাদি বুঝানো হয়। অনুরূপভাবে পৌরাণিক বিশ্বে নারী পরিভাষাটি দ্বারা কখনই কেবল নারীকে যে বুঝানো হয় না; বরং ক্ষেত্রবিশেষে পাতাল, দেহ, রতী, শিষ্য, ছাগল, মন, ইড়া ও কৈশরকাল ইত্যাদি বুঝানো হয়। বিষয়টি তারা জানেও না বুঝেও না। আর না বুঝার কারণেই সাম্প্রদায়িক-পারম্পরিক অঙ্গনে এত জাতিভেদ ও দলাদলি। আবার; একই সম্প্রদায়ের মধ্যে অসংখ্য শাখা-প্রশাখা ও দল উপদল। আর যুগে যুগে সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিকরাই রাজনৈতিক বলির পাঁঠা। তাই; সাম্প্রদায়িক-পারম্পরিকদের উদ্দেশ্যে নিচে বিষয়টি সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হলো
পৌরাণিক পুরুষ-নারী সূত্রের সংজ্ঞা (Definition of mythological male-female formula)
পৌরাণিক কাহিনী নির্মাণের সময়ে মানুষে বিদ্যমান প্রবল কোনো সত্তাকে পুরুষ ধরা ও সমগোত্রীয় অপেক্ষাকৃত দুর্বল সত্তাকে নারী ধরার নিয়মকে ‘পৌরাণিক পুরুষ-নারী সূত্র’ বলে।
সারা বিশ্বের সব সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক শ্বরবিজ্ঞান, পুরাণ, মরমী বাণী ও গুরুবাদী পুস্তক-পুস্তিকায় বড় ও শক্তিশালী বিষয়বস্তুকে পুরুষ ধরা হয় ও ছোট ও দুর্বল বিষয়বস্তুকে নারী ধরা হয়। আর এগুলোকে ‘পৌরাণিক পুরুষ-নারী’ বলা হয়। এর সূত্রের অধীনে প্রায় ৮টি প্রেক্ষিত রয়েছে।
দেহ পঞ্জিকার পুরুষ-নারী (The male-female of the body almanac)
পৌরাণিক পুরুষ-নারী (Mythological male-female)/পুরুষ (Male) নারী (Female)
১. আকাশকে পুরুষ ধরতে হলে; পাতালকে অবশ্যই নারী ধরতে হবে।
২. আত্মাকে পুরুষ ধরতে হলে; দেহকে অবশ্যই নারী ধরতে হবে।
৩. আত্মাকে পুরুষ ধরতে হলে; রতীকে অবশ্যই নারী ধরতে হবে।
৪. গুরুকে পুরুষ ধরতে হলে; শিষ্যকে অবশ্যই নারী ধরতে হবে।
৫. গোরুকে পুরুষ ধরতে হলে; ছাগলকে অবশ্যই নারী ধরতে হবে।
৬. জ্ঞানকে পুরুষ ধরতে হলে; মনকে অবশ্যই নারী ধরতে হবে।
৭. পিঙ্গলাকে পুরুষ ধরতে হলে; ইরাকে অবশ্যই নারী ধরতে হবে।
৮. যৌবনকালকে পুরুষ ধরতে হলে; কৈশরকালকে অবশ্যই নারী ধরতে হবে।
পৌরাণিক দিন-রাত নির্মাণ সূত্র (Mythological day-night construction formula)
আভিধানিকভাবে সূর্য দৃশ্যমান হওয়ার পর হতে অদৃশ্য হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়কে দিন বলা হয়। অন্যদিকে; সূর্য অদৃশ্য হওয়ার পর হতে দৃশ্যমান হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়কে রাত বলা হয়। কিন্তু শ্বরবিজ্ঞান ও পুরাণে বড় ও শক্তিশালী বিষয়বস্তুকে দিন এবং ছোট ও দুর্বল বিষয়বস্তুকে রাত বলা হয়।
পৌরাণিক দিন-রাত সূত্রের সংজ্ঞা (Definition of mythological day-night formula)
পৌরাণিক কাহিনীর দিন-রাত নির্ধারণ নিয়মকে ‘পৌরাণিক দিন-রাত সূত্র’ বলে।
সারা বিশ্বের সব সাম্প্রদায়িক ও পারম্পরিক শ্বরবিজ্ঞান, পুরাণ, মরমী বাণী ও গুরুবাদী পুস্তক-পুস্তিকায় বড় ও শক্তিশালী বিষয়বস্তুকে দিন ধরা হয় ও ছোট ও দুর্বল বিষয়বস্তুকে রাত ধরা হয়। আর এগুলোকে ‘পৌরাণিক দিন-রাত’ বলা হয়। এর সূত্রের অধীনে প্রায় ১০টি প্রেক্ষিত রয়েছে।
দেহ পঞ্জিকার দিন-রাত (The day-night of the body almanac)
পৌরাণিক দিন-রাত (Mythological day-night)
১. গুরুকে দিন ধরতে হলে; শিষ্যকে অবশ্যই রাত ধরতে হবে।
২. জ্ঞানকে দিন ধরতে হলে; মনকে অবশ্যই রাত ধরতে হবে।
৩. জ্ঞানীকে দিন ধরতে হলে; মূর্খকে অবশ্যই রাত ধরতে হবে।
৪. সবলকে দিন ধরতে হলে; দুর্বলকে অবশ্যই রাত ধরতে হবে।
৫. পবিত্রকালকে দিন ধরতে হলে; রজকালকে (ঋতুমতীর ক্ষেত্রে) অবশ্যই রাত ধরতে হবে।
৬. পবিত্রতাকে দিন ধরতে হলে; অপবিত্রতাকে অবশ্যই রাত ধরতে হবে।
৭. পিতাকে দিন ধরতে হলে; মাতাকে অবশ্যই রাত ধরতে হবে।
৮. যৌবনকালকে দিন ধরতে হলে; বার্ধক্যকে অবশ্যই রাত ধরতে হবে।
৯. সুস্থতাকে দিন ধরতে হলে; অসুস্থতাকে অবশ্যই রাত ধরতে হবে।
১০. বিজয়কে দিন ধরতে হলে; পরাজয়কে অবশ্যই রাত ধরতে হবে।
এবার পরিষ্কারভাবে বলা যায় যে; ইসলামী দর্শনে বর্ণিত রমজানের চাঁদটিও অবশ্যই দেহ পঞ্জিকারই হবে। দেহ পঞ্জিকার চাঁদ সারা বিশ্বের সবার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়ে উদয় হয়। অতঃপর; নির্দিষ্ট সময় অবস্থান করে আবার অস্তমিত হয়। হতে পারে সেই চাঁদগুলো; সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, শিশ্ন, মানুষ, উপাস্যের ‘নাম কীর্তন’, কৈশোরকাল, দেহ, মানুষগুরু, মুখমণ্ডল ও রজস্রাব ইত্যাদি। এখন কোন পঞ্জিকার চাঁদ দেখে উপোস পালন করবেন সিদ্ধান্ত আপনাদের।
(চলবে…)