আজ রোববার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী মিতা হক।
কিছুদিন আগে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত চার দিন আগে তিনি সুস্থ হয়ে বাসায় ফেরেন। এরপরেই হঠাৎ আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং আজ ভোরেই তিনি মারা যান।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছর ধরে তিনি কিডনি রোগেও ভুগছিলেন এই শিল্পী। নিয়মিত ডায়ালাইসিস ও চিকিৎসায় সুস্থ ছিলেন তিনি। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
মিতা হক, পাশে খালেদ খান ও তাদের একমাত্র কন্যা জয়িতা, ছবি সংগৃহিত
১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় জন্ম গ্রহণ করেন মিতা হক। এই খ্যাতনামা রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। তার একমাত্র কন্যা জয়িতাও একজন রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী। মিতা হক খুব অল্প বয়সেই বাড়িতেই চাচা ওয়াহিদুল হকের কাছে রবীন্দ্র সঙ্গীতের তালিম নেন। এরপরে সনজিদা খাতুনের কাছে গান শেখেন তিনি। তার প্রথম রবীন্দ্র সঙ্গীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’ ১৯৯০ সালে বিউটি কর্নার থেকে মুক্তি পেয়েছিল।
এই বরেণ্য শিল্পীর দীর্ঘদিনের সঙ্গীত কেরিয়ারে প্রায় ২০০টির বেশি রবীন্দ্র সঙ্গীত রেকর্ড করেছেন মিতা হক। মুক্তি পেয়েছে ২৪টি অ্যালবাম, যার মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে। ২০২০ সালে একুশে পদক প্রাপ্ত হন করে সঙ্গীত শিল্পী মিতা হক। এর আগে ২০১৬ সালে তিনি শিল্পকলা পদক লাভ করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টায় ছায়ানটে তার মরদেহ নেওয়া হবে। মিতা হককে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পরে আজই কেরানীগঞ্জের বড় মনোহারিয়ায় কবরস্থ করা হবে মিতা হককে।