জান্নাত আরা ঝর্ণা ও মামুনুল হকের সোনারগাঁ রিসোর্ট কাণ্ডের পরে ফাঁস হয়েছে আরেকটি নতুন বিস্ফোরক তথ্য। মামুনুল ও ঝর্ণার অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে জান্নাত আরা ঝর্ণার লেখা ৩টি ডায়েরী উদ্ধার হয়েছে। জান্নাতের তিনিটি ডায়েরী অনুযায়ী তাদের মধ্যে চলতি বছরের ৬ই ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত বিয়ের কোন তথ্য নেই।
জান্নাতের লেখা তিনটি ডায়েরীতে, ২০১৮ আগস্ট থেকে ২০২১ এর মার্চ অর্থাৎ ৩০মাস ধরে মামুনুলের সঙ্গের তার সম্পর্কের বর্ণনা রয়েছে ডায়েরীর পাতায়। শহীদুল ও জান্নাতের বড় ছেলে আব্দুর রহমান এই ডায়েরী তার মায়েরই বলে নিশ্চিত করেছেন।
আব্দুর রহমান বলেন, আমার মা আমাকে বলেছিল, আমার লেখা কিছু ডাইরি আছে , সেগুলি তোমার পড়া উচিত , তবে এখন না , যখন সময় আসবে তখন। আমার মায়ের সঙ্গে মামুনুল হকের সাথে সম্পর্ক এবং তার জীবনে প্রতিটি মুহূর্তে কি ঘটেছে তার উল্লেখ রয়েছে এই ডায়েরীতে।
জানা গেছে, ২০শে ফেব্রুয়ারী ২০১৯, আর্থিক দায়িত্ব নেওয়ার বিনিময়ে মামুনুলের কথিত স্ত্রী ঝর্ণার সঙ্গে গুপ্ত সম্পর্কে চুক্তিভিত্তিক সম্পর্ককে রূপ দেন হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হক।
ডায়েরীতে জান্নাত লিখেছে, সাদা সাদা জামা পরলেই আর বড় মাওলানা হলেই মানুষ হয় না, মুখোশধারীও হয়। মামুন সাহেব আমার শরীরটা কিনে নিয়েছে। আমার জীবনের অন্যতম ঘৃণিত ব্যক্তই হচ্ছে মামুনুল হক। আমি তার কথা ছাড়া ঘরের বাইরে এক পা দিতে পারবো না। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি আমি তাকে খুব ঘৃণা করি। আবার কখনো মনে হয় ভালবাসি। তবে হ্যাঁ, আমার লাইফটা নরক বানিয়ে ফেলেছে।
আরও লিখেছে, মামুন সাহেব আমার শরীরটা কিনেছে কেন আল্লাহ? সব জেনে মামুন সাহেব যা করেছেন, আমি শুধু তার টাকা ফেরত দিতে চাই। আল্লাহ কবুল করো। আমাদের সাথে শুধু প্রেম হয়েছিল। কোন ভালবাসা ছিল না। ছিল শুধু ক্ষণিকের আবদার পূরণের আমেজ। আল্লাহ আমি কি করবো? কি করলে পাপমুক্ত হবো?
এম, এগ্রিমেন্ট স্ট্যার্ট ২০/০২/২০১৯”
চলতি বছরের ২৫শে ফেব্রুয়ারী জান্নাত ডায়েরীতে লিখেছে, টাকা দিয়ে আমার দেহ কিনেছিলেন। আপনার টাকা ফেরত দিতে চাই। শুধু আমার সময় ফেরত চাই। কেন করেছিলেন এমন? আপনার অনেক টাকা ছিল, পাওয়ার ছিল তাই?
কিভাবে এইখান থেকে বের হবো? আমার জীবনের অর্থ কি? ডায়েরীর বিভিন্ন পাতায় তিনি লিখেছেন, আল্লাহ তুমি আমার ক্ষমা করে দাও।
https://www.youtube.com/watch?v=6qAgIyk4vXk&ab_channel=%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%80-Samoyikiহেফাজত নেতা মামুনুল ও জান্নাতের গোপন সম্পর্কের তথ্য ফাঁস। ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।
উল্লেখ্য, ১০ই আগস্ট ২০১৮ সালে মাদ্রাসা শিক্ষক শহীদুল ইসলামের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় জান্নাত আরার। আব্দুর রহমান ও তামীন নামে তাদের দুইজন ছেলে সন্তান রয়েছে। বিচ্ছেদের পরে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার কিছুদিন পর থেকে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের জিম্মায় জান্নাত।
অবিবাহিতা উল্লেখ করে ৮মাস ধরে ঢাকার নর্থ সাউথ রোডের একটি বাড়ির চতুর্থ তলায় সাবলেটে ভাড়া থাকতেন জান্নাত। এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন বাড়ির মালিক সালমা খান। তিনি আরও বলেন, মামুনুল হকের সাথে যে মেয়েটি ধরা পড়েছে সে আমার বাসায় সাবলেট থাকতো। পার্লারে জব করত, তারপর জবটা ছেড়ে দিয়েছে।