পুলিশ ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসাের্টে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ৮৩ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশের ওপর হামলা ও রিসোর্টে ভাঙচুরের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকসহ ৮৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে তিনটি মামলা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। আর সাংবাদিক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।’
গত ৩ এপ্রিল বিকেলে রয়েল রিসোর্টে একজন নারী সহ মামুনুল হককে স্থানীয় কয়েকজন অবরুদ্ধ করে রাখেন।ঐদিন সন্ধ্যায় সোনারগাঁয়ের ঐ রিসোর্ট থেকে মামুনুল হককে ছাড়িয়ে স্থানীয় একটি মসজিদে নিয়ে যায় হেফাজত নেতাকর্মীরা। এর আগে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় কিছু লোক মাওলানা মামুনুল হককে রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে অবরুদ্ধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এ সময় মামুনুল হক তাদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি তার সঙ্গে নিয়ে আসা নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবী করে জানান তার স্ত্রীর নাম আমেনা তাইয়্যেবা। শরিয়ত অনুযায়ী তিনি দুই বছর আগে আমেনাকে বিয়ে করেন।
এ ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করেন কয়েকজন ব্যক্তি। ওই লাইভ দেখে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর স্থানীয় লোকজন ও মাদরাসার শত শত ছাত্র ওই রিসোর্ট গিয়ে মামুনুল হককে নিয়ে আসেন। মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেয়ার সময় হেফাজতের উত্তেজিত কর্মী-সমর্থকরা লাঠিসোটা হাতে রিসোর্টে ভাঙচুর চালান। এরপর তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।এসময় হেফাজত কর্মীরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে সড়কে অবস্থান নেন এবং বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।