সামনেই আসছে রমজান মাস। ঊর্ধ্বগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম।
দিনকাল এমন জায়গায় এসে ঠেকেছে যে ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে পকেট ভর্তি বাজার সদায় নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে- এমনভাবেই একজন বলছিলেন চায়ের দোকানে। কাঁচা বাজারে গিয়ে কিনতে ব্যর্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। মানুষের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেড়েছে বহুগুণ। কিভাবে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদা মিটিয়ে জীবন ধারণ করবে- এই দুঃশ্চিন্তায় কাতর মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমংগল উপজেলা শহরের মানুষেরা। এ চিত্র শুধু একটি অঞ্চল নয়, সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে বিরাজমান। বাংলাদেশের যে কোন পর্বকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো জিনিষপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়ে বিরাট অংকের মুনাফা অর্জন করে। সম্প্রতি পত্রিকার এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কয়েকজন সাধারণ ক্রেতা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়,
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের সবচেয়ে বড় কোটিপতি কারা?
২২ টাকার পিয়াজ একলাফে দাম বাড়িয়ে ৩৫ টাকায় বিক্রি করে কারা?
এই শহরের কাদের বড় বড় বিল্ডিং আছে?
পিয়াজের রস চিপে জনগনের পকেট কাটার অভ্যাস যাদের, তাদেরকে রুখবে কে?
এমন প্রশ্ন ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করছে সাধারণ জনতা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিম্নবিত্ত অসহায় মানুষের জীবনে বয়ে আসছে এক রকম ঘূর্ণিঝড়, দিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছে আমজনতা।
বাজার করতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, সাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে আমরা জিম্মি। আমরা নিরীহ মানুষগুলো কোন আদালতে গিয়ে জানাবো আমাদের অসহায়ত্বের কথা, বলতে পারেন?