বাংলাদেশে নতুন করে লকডাউন

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উর্ধ্বগতির কারণে এক সপ্তাহের লকডাউন দিতে যাচ্ছে সরকার।

জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিবিসিকে বলেছেন, এক সপ্তাহের এই ‘লকডাউন’ সোম অথবা মঙ্গলবার শুরু হতে পারে।

এখনই চূড়ান্ত দিন তারিখের কথা উল্লেখ করেননি মি. হোসেন। তিনি বলছেন, জনগনকে প্রস্তুতি নেবার সুযোগ দেয়া হবে।

তবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বলছেন, সোমবার থেকে শুরু হবে ‘লকডাউন’।

- বিজ্ঞাপন -

এ সময় আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার গণপরিবহনের চলাচল বন্ধ থাকবে।

আর কীভাবে এই লকডাউন কার্যকর হবে তার বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।

তবে ফরহাদ হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার ও খাবারের দোকান লকডাউনের সময় খোলা থাকবে।

সেইসঙ্গে গার্মেন্ট ও অন্যান্য শিল্প-কারখানাগুলো লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।

এর কারণ হিসেবে মি. হোসেন বলেছেন কারখানা বন্ধ রাখা হলে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক বাড়িতে ফিরতে শুরু করবে, এতে ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে।

- বিজ্ঞাপন -

তাই কলকারখানা খোলা রেখেই শ্রমিকদের কয়েকটি শিফটে ভাগ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া বইমেলার বন্ধের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সরকার বলছে করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় ঢেউ সামলানোর জন্য এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

- বিজ্ঞাপন -

বাংলাদেশে গত কয়েকদিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিগত সময়গুলোর রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে, বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।

শনিবার সবশেষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে জানানো হয় ২৪ ঘণ্টায় যারা করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করিয়েছেন তাদের ২৩.১৫% করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, অর্থাৎ ৫৬৮৩জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের।

এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মানুষের চলাচল সীমিত করতেই লকডাউন জরুরি বলে জানিয়েছেন দুই মন্ত্রী।

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ১৮দফা নির্দেশনা দেয় ।

সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি ওই নির্দেশনায় সব ধরনের জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৫০ ভাগ জনবল এবং গণপরিবহনগুলোকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে পরিচালনার কথা বলা হয় সেখানে।

ওই নির্দেশনার আলোকেই দেশব্যাপী লকডাউন দেয়া নিয়ে কয়েকদিন ধরে আলোচনা চলছিল বলে জানান মি. হোসেন।

ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ওইসব স্থানে নতুন করে বুকিং নেয়া এবং আগের বুকিং বাতিল করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

গত বছরের ৮ই মার্চে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। দিন দিন সেটা বাড়তে থাকায় ২৬ মার্চ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় যা পরে কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছিল।

ওই বছরের এপ্রিল ও মে মাস জুড়েই অব্যাহত ছিল এই সাধারণ ছুটি।।

সেই লকডাউন পরিস্থিতিকে সেই সময় সরকার ‘সাধারণ ছুটি’ বলেই অভিহিত করেছিল।

দেশজুড়ে ‘লকডাউন’ করার আগ পর্যন্ত আক্রান্ত বাড়ি, প্রয়োজনে জেলা-উপজেলা ইত্যাদি লকডাউন করা হয়েছিল।

২০২০ সালের ১৮ই এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ২৯টি জেলা সম্পূর্ণ এবং ১৯টি জেলা আংশিকভাবে লকডাউন করা হয়েছিল।

বিভিন্ন দেশের মত দেশজুড়ে ‘লকডাউন’ না হলেও সারা দেশেই অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মুক্তভাবে চলাচলের উপর বাধা আরোপ করা হয়েছিল।

সারা দেশে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাইরে বের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার।

একইসাথে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় চলাচল বন্ধের জন্যও প্রশাসন কড়াকড়ি আরোপ করেছিল।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!