গতকাল ৩১শে মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপরিচালক বিমলেন্দু চাকমা জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সরকার গণপরিবহনে চলাচলের ক্ষেত্রে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন আপাতত দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকবে। এবং অন্যান্য মোটরযানে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগ পরিবহন ও স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে।
রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং শাহবাগ মোড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে পাঠাও, উবারের চালকেরা।
দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড় হয় মোটারসাইকেল চালকেরা। সড়কের উপরে মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে রেখে ফুটপাতে তারা মানববন্ধন করেন। এ সময়ে রাইড শেয়ারিং চালু করার দাবি আদায়ে তারা স্লোগান দেয় এবং রাইড শেয়ারিং অ্যাপ বন্ধে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নির্দেশনার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
মোটরসাইকেল চালকরা জানান, গত একবছর ধরে করোনা মহামারীর সময়ে চাকরি না থাকায় – এটাই তাদের একমাত্র উপার্জনের পথ। এজন্য সংসার চালাতে মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ার করেন তারা। গত সোমবার করোনা প্রতিরোধে ১৮ দফা সরকারের নির্দেশনায় গণপরিবহন চললেও মোটরসাইকেল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এখন কিভাবে সংসার চালাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মোটরসাইকেল চালকেরা।