বরিশালে ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক মহম্মদ ইউসুফ হোসেন কালু (৯১) আর নেই। সোমবার বিকেল ৫.৪০ মিনিটে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কেবিনে বার্ধক্যজনিত কারনে তার মৃত্যু হয়।
১৯৩১ সালের ১৭ জানুয়ারী ঝালকাঠী জেলার রাজাপুরের কানুদাসকাঠী মিয়াবাড়িতে ইউসুফ কালুর জন্ম বরিশাল ব্রজমোহন বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়ার সময়েই তিনি ১৯৪৮ সালে ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। পরে বি এম কলেজে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট ভাষা সংগ্রাম কমিটির সাথেও তিনি যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি বৃহত্তর বরিশাল ভাষা সংগ্রাম পরিষদে যুক্ত হোন। তিনি ১৯৭০ সালের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে লঞ্চে করে নির্বাচনী প্রচারণায় সহযোগী হন। ১৯৭১ সালে তিনি নবম সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। এসময় রণাঙ্গণ থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘বিপ্লবী বাংলাদেশ’ পত্রিকার সাথেও যুক্ত হয়ে পড়েন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথেও ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু নির্বাচনের প্রচারে দক্ষিণাঞ্চলে আসলে তিনি তার সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্ত থাকেন। মহম্মদ ইউসুফ কালু ১৯৬২ সালে প্রথমে আজাদ ও পরে দৈনিক পয়গামের বরিশাল সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করেছেন। বরিশাল প্রেসক্লাবের (বর্তমানে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব) সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক সন্তান সহ বহু শুভাকাঙ্খী রেখে যান। তার মৃত্যুতে বরিশাল-৫ আসনের এমপি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম, বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাদ সাদিক আবদুল্লাহ, জেলা প্রশাসক জসীমউদ্দিন হায়দার, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাদ বরিশাল প্রেসক্লাব, বরিশাল রিপোটার্স ইউনিটি, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ সহ শতাধিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় এসসিজিএম স্কুল মাঠে প্রয়াতের গার্ড অব অনার ও জানাজা শেষে ঝালকাঠী জেলার রাজাপুরের কানুদাসকাঠী মিয়াবাড়িতে তার তাফন সম্পন্ন হয়।
ভিডিও:সুশান্ত ঘোষ