ইন্দোনেশিয়ায় মাকাসার শহরের একটি ক্যাথলিক গির্জায় রবিবার সকালে বিশেষ পর্ব দিবসের উপাসনা চলাকালীন সময়ে আত্মঘাতী বোমা হামলায় বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গির্জার একজন যাজক রেভা: উইলহেমাস তুলাক স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে করে গির্জায় প্রবেশের চেষ্টা করে। নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে তারা আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
দেশটির পুলিশ গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, খ্রিস্টানদেড় ধর্মীয় উৎসব ‘পুনরুত্থান’ এর আগের রবিবার বিশেষ পর্ব ‘পালমা রবিবার’ এর উপাসনা চলাকালীন সময়ে দুষ্কৃতিকারীরা আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটায় । খবর বিবিসি
তিনি আরও বলেন এ পর্যন্ত ১০জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কয়েকজনের দেহের ছিন্নভিন্ন অংশ পড়ে আছে। তবে এগুলো হামলাকারীদের নাকি সাধারণ মানুষের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনো অনিশ্চিত।
ইসলামী চরমপন্থীরা অতীতে গির্জার উপর হামলা চালিয়েছিল তবে বোমা হামলার পেছনে এর হাত রয়েছে বলে কোনও দল এখনও দাবী করেনি।
মাকাসারের মেয়র ড্যানি পোমন্তো বলেছিলেন যে মূল প্রবেশদ্বারে বিস্ফোরণটি ঘটলে আরও বেশি মানুষ হতাহত হতো ।
গির্জার ইন্দোনেশিয়ান কাউন্সিলের গির্জার প্রধান গুমার গুল্টম বলেছেন, খ্রিস্টানদের বিশেষ পর্ব পালমা রবিবার উদযাপন উপাসনায় লোকদের উপর হামলা “নিষ্ঠুর”।
তিনি মানুষকে শান্ত থাকার এবং কর্তৃপক্ষের উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানান।
উল্লেখ, অতীতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়ায় চার্চগুলো উগ্রবাদীদের আক্রমণের লক্ষ্য ছিল ২০১৮ সালে সুরবায়া বন্দর নগরীতে গীর্জা এবং একটি পুলিশ সদর দফতরে বোমা হামলায বেশ কিছু মানুষ নিহত হয়েছিল।
এই হামলার জন্য পুলিশ একটি ইসলামী রাষ্ট্র-অনুপ্রাণিত নেটওয়ার্ক জামায়াত আনছারুত দৌলা ((JD)) গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে।
আইএস জঙ্গিদের কেন ইন্দোনেশিয়া লক্ষ্যবস্তু?
দক্ষিণ পূর্ব এশীয় দেশ দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী জঙ্গিবাদের সাথে লড়াই করেছে। ২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি শহরে সর্বকালের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল, নাইটলাইফ জেলায় একটি হামলায় ২০২ জন মানুষ, বেশিরভাগই বিদেশী নাগরিক নিহত হয়েছিল।
সে সময় জেমাহ ইসলামিয়াহ (JI) জঙ্গি নেটওয়ার্ক দ্বারা এই জঙ্গী হামলা করা হয়েছিল।