বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষা ও বেআইনি শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে মর্মে বিবৃতি দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ‘সমাবেশে পুলিশের বাধা ও গুলি চালনার পর চার জনের মৃত্যু ও অসংখ্য আহতের ঘটনা’ স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই সমবেত হওয়ার এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারকে সম্মান করতে হবে।
গত ২৫শে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিরুদ্ধে আয়োজিত সমাবেশে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়লে শতাধিক মানুষ আহত হয়ে্ছে দাবী করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক গবেষক সুলতান মোহাম্মেদ জাকারিয়া বিবৃতিতে বলেছেন, “চট্টগ্রাম ও ঢাকার সহিংসতার দৃশ্য বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের আচরণের একটি পরিচিত রূপ। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার হামলার শিকার হয়েছে বিশেষ করে এই করোনা মহামারির সময়ে।’
তিনি আরও বলেছেন, “আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার ও সংবিধানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার আছে। কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই এগুলোকে সম্মান করতে হবে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষা ও বেআইনি শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে।’
উল্লেখ গত কয়েকদিন ধরে ইসলাম ধর্ম পন্থী সংগঠন ও কিছু বাম সংগঠন নরেন্দ্রমোদীর সফর বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভে ঢাকা, চট্টগ্রামে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ হয়। এসব সংঘর্ষে চট্টগ্রামে চার জন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে এবং পুলিশ সহ বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছে।
এর প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আজ বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে এবং আগামীকাল হরতাল পালন করবে বলে জানিয়েছে।