ওজন কমানোর প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন, অথচ সকালের নাশতায় চলছেই পরোটা আর গরুর মাংস, লাভ হবে কী করে? আর সবকিছু বাদ দিয়ে নাশতায় রাখুন “ওটমিল”। অনেকগুলো উপায়ে আপনার ওজন ঝরানোর ইচ্ছে পূরণ করবে এই খাবারটি।
১) বিজ্ঞান কী বলে
একটি গবেষণায় দেখা যায় যে যারা ছয় সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ওট খেয়ে থাকেন তাদের কোলেস্টেরল লেভেল এবং কোমরের মাপ কমে যায় তাদের তুলনায় যারা সমপরিমাণ নুডলস খেয়ে থাকেন এই সময়ে।
২) পেট ভরা থাকে
ওজন বাড়ার একটি অন্যতম কারণ হলো যখন তখন ক্ষুধা লাগলে জাংক ফুড খাওয়া। কিন্তু সকালে ওটমিল দিয়ে পেট ভরে নাশতা করার পর সহজে ক্ষুধা লাগবে না। ওটমিলে আছে অনেকটা ফাইবার যা পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। আর এটা অনেকক্ষণ ধরে আপনার শরীরে ক্যালোরি সরবরাহ করতেও পারদর্শী। ফলে রক্তের সুগার লেভেল স্থিতিশীল থাকে, শক্তি বজায় রাখে এবং ক্ষুধা কমিয়ে রাখে।
৩) শর্করা সরবরাহ করে ঠিকমতো
রাত্রে খাবার চাইতে সকালে খাওয়া হলে শর্করা হজম হয় অনেক ভালোভাবে। এই শর্করা শরীরে ফ্যাট হিসেবে জমতে পারে না। ফলে সকালেই সবচাইতে বেশি শর্করা খাওয়া উচিৎ যা ওটমিল থেকে পাওয়া যেতে পারে।
৪) সহজে তৈরি করা যায়
ওটমিল রান্না করা অসম্ভব সহজ, আর সময়ও লাগে কম। মাত্র ১০ মিনিটেই ওটমিলের নাশতা তৈরি করে ফেলা যায়। এছাড়া আগের দিন রাত্রেও ওট দুধে ভিজিয়ে রাখা যায়, ফলে সকালে নাশতা তৈরির কোনো সময়ই লাগে না।
৫) একঘেয়েমির কোনো সম্ভাবনা নেই
ওট দিয়ে রান্নার আছে অনেক অনেক রেসিপি। এটা যেমন দুধ দিয়ে সিরিয়ালের মতো করে খাওয়া যায়, তেমনি সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন খাওয়া যায় চকলেটের মতো স্বাদে। এমনকি বিভিন্ন সবজি দিয়ে তরকারীর মতো তৈরি করেও খাওয়া যায় ওট।
✍️এই নিবন্ধটি সাময়িকীর সুন্দর এবং সহজ জমা ফর্ম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। আপনার লেখা জমাদিন!