বিশ্বকে গ্রাস করা মহামারি করোনাভাইরাস থেকে সহজে মুক্তি মিলবে না বলে আবারও সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বলেছে, এই ভাইরাস মোকাবেলায় সহজ ও জাদুকরী কোনো সমাধান নেই। এমনকি কখনো এ ধরনের কোনো সমাধান আর মিলতে নাও পারে এমন শঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি। খবর বিবিসির।
সোমবার জেনেভায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, করোনাভাইরাসের কার্যকর একটি টিকা তৈরির তোড়জোড় এবং এ টিকা নিয়ে সবার অনেক আশা থাকলেও কোনো জাদুকরী সমাধান হয়ত কোনোদিন মিলবে না; স্বাভাবিকতায় ফেরার পথ হবে দীর্ঘ।
সংবাদ সম্মেলনে গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘জনগণ এবং বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে আমাদের পরিষ্কার বার্তা: সবাই এসব বিধি পালন করুন।’ মুখে মাস্ক পরাটা বিশ্বজুড়ে সংহতির প্রতীক হয়ে ওঠা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
ডব্লিউএইচও প্রধান গেব্রিয়েসুস এবং সংস্থাটির জরুরি সেবা বিভাগের প্রধান মাইক রায়ান বিশ্বের সব দেশেই মানুষকে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত ধোয়া এবং ভাইরাস পরীক্ষার মতো স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার গেব্রিয়াসিস বলেছিলেন, ‘যদিও করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণায় অগ্রগতি হয়েছে, তারপরও অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি, মানুষ এখনো ঝুঁকিতে থেকে গেছে।’
ভাইরাসের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই মহামারির মতো এমন স্বাস্থ্য সংকট শতাব্দীতে একবারই দেখা যায়। আর এর প্রভাব আগামী কয়েক দশক পর্যন্ত থেকে যেতে পারে।’
বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এক কোটি ৮০ লাখের বেশি এবং মারা গেছেন ছয় লাখ ৯০ হাজারের বেশি মানুষ। অনেক দেশই মহামারির প্রথম ধাক্কা সামলে ওঠার পর দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে বিশ্বে বেশ কয়েকটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চলছে। গত মাসে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, তাদের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন নিরাপদ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে প্রতীয়মান হয়েছে। এই ভ্যাকসিনের পরবর্তী পরীক্ষায় ১০ হাজার মানুষের দেহে প্রয়োগ করা হবে। এছাড়া রাশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশ করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে শেষ ধাপে রয়েছে বলে দাবি করেছে।