সাময়িকী.কম
গোলটেবিল আলোচনা
ঢাকা বসুন্ধরার চিত্র। ছবিঃ রফিকুল ইসলাম সাগর, সাময়িকী.কম |
ঢাকাকে ভোগ না করে উপভোগের শহর হিসেবে গড়ে তোলার তাগিদ দিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। তারা বলছেন, কোনটি আবাসিক আর কোনটি বাণিজ্যিক বা কোন আবাসিককে কী পরিমাণ বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে, তার জন্য আইন দরকার। বর্তমানে যে আইন আছে তা যুগোপযোগী নয়। যে কারণে প্রতিটি এলাকায় অবৈধ প্রতিষ্ঠান বেড়ে যাচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট আবাসিক এলাকা বসবাসের উপযোগিতা হারাচ্ছে। গতকাল (শনিবার ৬ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। ‘আবাসিক এলাকার ভূমি ও ভবন ব্যবহার : বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ রূপরেখা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট (আইইবি) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন—ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক বলেন, গুলশানের নিরাপত্তায় ৫০০ রিকশা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সীমিত করা হয়েছে প্রবেশ ও বহির্গমন পথ। আগামী ১০ আগস্ট থেকে গুলশানের অভ্যন্তরে চলাচলের জন্য ৩০টি এসি বাস নামানো হবে। যেখানে ভাড়া হবে রিকশার চেয়েও কম, মাত্র ১৫ টাকা। তিনি বলেন, ‘আমি টোটালি কনফিউজড। কারণ আইন বলছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে। অন্যদিকে অনেক ইনভেস্টমেন্ট। তাই দুটি বিষয়ই ভাবতে হচ্ছে। যদিও এসব রাজউক, সিটি করপোরেশনের সহায়তাতেই হয়েছে। কাজেই রাজউকের বেড়াও খেত খায়, আমার বেড়াও খায়।’ সভায় অন্যদের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—রাজউক চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, আইএবির সভাপতি ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ, বিআইপির সভাপতি ড. এ কে এম আবুল কালাম, অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তানজিব উল আলম, স্থপতি কাজী এম আরিফ, পরিকল্পনাবিদ আখতার মাহমুদ, নগর পরিকল্পনাবিদ ড. ইসরাত জাহান, স্থপতি সালাহ উদ্দিন আহমদে, স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ বক্তব্য দেন। বজলুল করিম চৌধুরী বলেন, রাজউক যেখানে আবাসিক এলাকা গড়েছে, সেখানে পরিকল্পনা করেই করা হয়। সূত্র : দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন (প্রকাশ : রবিবার, ৭ আগস্ট, ২০১৬)