টিভি চ্যানেলে কপালভাতি দেখিয়ে যিনি নাম করেছিলেন, তিনি আজ পাঁচ হাজার কোটি টাকার ব্যবসার প্রধান পুরুষ! ধর্ম আর স্বদেশিয়ানার অভিনব মিক্সচারে কেল্লা ফতে!
ছবি: সুমন চৌধুরী
আগে, সন্ন্যাসীরা সোজা হিমালয়ে চলে যেতেন। সমাজ-সংসারের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক থাকত না। সেটাকেই সন্ন্যাসীর সবচেয়ে বড় লক্ষণও মনে করা হত— তাঁরা এ সংসার নিয়ে আদৌ ভাবেন না। গৃহী নন, তাই তাঁরা সন্ন্যাসী।
তার পর ‘মঠ’ এল। অন্য রকম সন্ন্যাসীরা এলেন। তাঁরা সমাজের কাছেই থাকেন। সংসার করেন না, কিন্তু সমাজের সঙ্গে তাঁদের দৈনন্দিন দেখাসাক্ষাৎ, যোগাযোগ।
তার পরে এল মিশন। সেই মিশনের সন্ন্যাসীরা বললেন, দেশ ও দশের ভাল করাও আমাদের কর্তব্য। শুধু ঈশ্বরচিন্তা করব কেন, মানুষের সেবার মধ্যে দিয়েও ঈশ্বরসেবা করব।
আরও অনেক দিন পর, এক নতুন ‘বাবা’ নিয়ে এলেন সন্ন্যাসীর এক আশ্চর্য মডেল! তিনি বললেন, আমি মানুষকে ভাল ভাল খাবার খাওয়াব, যাতে তার শরীর ভাল হয়। আমার তৈরি খাবার হবে প্রাচীন ভারতের আয়ুর্বেদ মেনে তৈরি, ষোলো আনা খাঁটি, ভেজালহীন। হ্যাঁ, তা করতে গিয়ে আমার কিছু টাকা হবে, কিছু মানে কয়েক হাজার কোটি, তাতে ক্ষতি কী? টাকা আমার কাছে ঘৃণ্য নয়, বরং কাম্য, কারণ তা দিয়ে আমি তৈরি করতে পারি নতুন পাঁপড়, নতুন ঘি, নতুন ভারত!
মাহিন্দ্রা স্করপিয়ো থেকে যে রকম লাফিয়ে নামলেন রামদেব বাবা, তাতে মনে হল, সত্যি, প্রাচীন আয়ুর্বেদিক ফিটনেস ছাড়া এ সম্ভব নয়। সঙ্গে সঙ্গে চার পাশে তৈরি হয়ে গেল একটা সিকিয়োরিটির কর্ডন, জলপাই রঙের পোশাক পরা সব হাট্টাকাট্টা লোক, হাতে মেশিনগান, কোমরে ওয়াকি-টকি! ‘পশ্চিমবঙ্গ’ এবং ‘আনন্দবাজার’— দুটি শব্দ কোনও মতে ছুড়ে দিতে, দাঁড়িয়ে গেলেন বাবা। বললেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ খুবই ধার্মিক, অধ্যাত্মজ্ঞানে ভরপুর। জানেন তো, এই পতঞ্জলির ট্রাস্ট মূলত যে চার জন চালান, তার মধ্যে এক জন, মুক্তানন্দজী, মেদিনীপুরের মানুষ?’ তার পরেই বললেন, ‘মমতা দিদির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। ওখানে পতঞ্জলির ব্রাঞ্চ খোলা হয়েছে। বাংলার উন্নতির জন্য যদি কিছু করার সুযোগ পাই, নিশ্চয়ই এগোবো।’
শুধু পশ্চিমবঙ্গ তো নয়, গোটা দেশই এখন তাঁর রেডারে। নেসলে, কোলগেট, আইটিসি, ডাবর, ইমামির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন তিনি। তাঁর ব্যবসার মোট মূল্য এখন পাঁচ হাজার কোটি! অবশ্য তাঁর নয়, ‘পতঞ্জলি’-র ব্যবসা। খাতায়-কলমে, রামদেব পতঞ্জলি-র কেউ নন। কিন্তু সবাই জানে, কার জন্য এই ব্যবসা চলে, কার মুখ দেখে লোকে এই সংস্থার জিনিস কেনে। অবাক লাগে, টিভি চ্যানেলে অনুলোম-বিলোম আর কপালভাতি দেখিয়ে এক জন এমন বিখ্যাত হলেন, ১৯৯৭ সালে তৈরি নিজেদের একটা ছোট্ট ওষুধের দোকানকে এ বার ঢেলে সাজিয়ে, নতুন ছাঁদে ফেলে, বছর দশেকের মধ্যে এনে ফেললেন দেশ জোড়া পাঁচ হাজার কোটির ব্যবসায়! এই টাকার ব্যবসায় আসতে ডাবর-এর লেগেছে ৭০ বছর!
আমি যেখানে দাঁড়িয়ে অাছি, হর কি পৌড়ি থেকে কিলোমিটার বিশেক আগে, পতঞ্জলি আশ্রমে, যত দূর চোখ যায়, একরের পর একর জুড়ে যোগপীঠ, দিব্য নার্সারি, আয়ুর্বেদ হাসপাতাল, বানপ্রস্থ আশ্রম, পতঞ্জলি ফুড অ্যান্ড হার্বাল পার্ক, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ বিশ্ববিদ্যালয়, হোস্টেল, যোগগ্রাম— কী নেই!
‘এ সবই যা দেখছেন, সাধারণ মানুষের সেবা আর স্বদেশিয়ানার বোধকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা’, হাসছেন রামদেব। ‘আস্থা’ চ্যানেলের সৌজন্যে যে হাসি বিজ্ঞাপন হয়ে ছড়িয়ে গিয়েছে দেশের অন্তত ২০ কোটি মানুষের মধ্যে।
এই বাবাও নাকি হিমালয়ে ঘুরেছেন! গুহার মধ্যে রাত কাটিয়েছেন, সাধনভজন করেছেন। বছর কুড়ি আগেই নাকি রামদেব বাবা ছিলেন কপর্দকশূন্য, কনখলের একটি গাছের নীচে দিনগুজরান করতেন। সেই ইমেজটা ফিটফাট রাখতেই বোধহয়, বার বার বলা হচ্ছে, সংস্থার প্রফিট পুরোটাই মানুষের ভাল-র জন্য খরচা হবে। পতঞ্জলি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালকৃষ্ণ জানাচ্ছেন, ‘আমরা লাভের হান্ড্রেড পার্সেন্টই মানুষের উপকারে লাগাই। আয়ুর্বেদ গবেষণাকেন্দ্র, হাসপাতাল, স্কুল তৈরি করি। গরিবদের বৃত্তি দিয়ে পড়াই। এই তো ১৫০ কোটি দিয়ে হরিদ্বারেই রিসার্চ সেন্টার তৈরি হচ্ছে। পলিউশন রুখতে গবেষণা হবে।’ মনে পড়ল, তিনি অন্যত্র সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমাদের কোনও বিজনেস প্ল্যান নেই। মার্কেটিং কাকে বলে, জানিই না।’ সত্যিই, শুধু অজ্ঞতা আর আন্তরিকতা মূলধন করেই এত দূর চলে এলেন ওঁরা? মিরাক্ল-টা হল কীসে? রামদেবকে জিজ্ঞেস করলাম।
হাঁটতে হাঁটতে এত ক্ষণে আমরা সদ্ভাবনা ভবনের দোতলায় এক পেল্লায় কনফারেন্স রুমে। সংস্থার বড়কর্তাদের সঙ্গে এই সময়টাতেই রোজ এখানে মিটিং করেন রামদেব। ভক্তদের প্রণাম সামলাতে সামলাতেই জবাব দিলেন, ‘সত্যি বলতে কী, কখনও ভাবিনি যোগকে, বা কোনও কিছুকেই, ব্র্যান্ড বানাব। একটা গণ্ডগ্রামে ছোট্ট সরকারি স্কুলে লেখাপড়া শিখেছি। ব্যাকরণ, বেদ, আয়ুর্বেদ পড়েছি। আজ আমার চার পাশে যে রমরমা দেখছেন, লোকের ভাল করতে করতে, আপনা থেকেই হয়ে গেছে।’
প্রশ্ন করলাম, ‘যোগ শিক্ষা থেকে এই ব্যবসায় এলেন কেন? এ তো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর লড়াইয়ের জায়গা!’
‘আমি প্রায় ২০ লাখ কিলোমিটার ঘুরেছি। বহু কোটি লোক আমায় নামে এবং কাজে জানে। এই সফর অনেক লম্বা। হম নে নয়া বিচার, নয়া আকার, নয়া আধার, অউর নয়া দৃষ্টি রখ্খি হ্যায়। আমার লক্ষ্য জনহিত, দেশপ্রেম এবং কম লাভে বিশ্বমানের জিনিস তৈরি করা। এই ব্যবসায় যে কেউই আসতে চান, তাঁকে স্বাগত জানাই’, কাঁধে চাপড় দিয়ে দরজার ও-পারে অদৃশ্য হয়ে গেলেন বাবা।
এখন নিশ্চয়ই সেই আশ্চর্য ওয়েভলেংথে স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা হবে, যা অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিল, একটাও বিজ্ঞাপন টিভিতে না দিয়েও, যদি লক্ষ লক্ষ যোগ-ক্লাসে নতুন প্রডাক্ট বিক্রি করতে শুরু করা যায়, গোটা দেশে তা হু-হু করে ছড়িয়ে পড়বে! এখন আবার রামদেব বাজারের চলতি খেলাতেও নেমেছেন। গাঁটছড়া বেঁধেছেন কিশোর বিয়ানি-র সঙ্গে, যিনি প্যান্টালুন্স শুরু করেছিলেন, যিনি বিগ বাজার-এর স্রষ্টা। পতঞ্জলির টিভি বিজ্ঞাপনও শুরু হয়ে গেছে। সাধে কি বিজ্ঞাপন-গুরু পীযূষ পান্ডে বলেছেন, ‘বাবা অলরাউন্ডার। ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং— সব নিজেই করেন। ডাইরেক্ট মার্কেটিং-এ তিনি অ্যামওয়ে অ্যাভনকে অনেক আগেই টেক্কা দিয়েছেন।’
টেক্কা দিয়েছেন অন্য গুরুদেবদেরও। শ্রীশ্রীরবিশঙ্কর, যিনি কিনা একটিও স্পনসর ছাড়া, ২৫ কোটির বেশি খরচা করে, তিন দিন ধরে সারা পৃথিবী থেকে ৩৭ হাজার শিল্পীকে এনে চোখ-ধাঁধানো ফেস্টিভ্যাল করতে পারেন, তিনি পর্যন্ত ১৩ বছর ধরে বিভিন্ন প্রডাক্ট বিক্রি করে রামদেবের ধারেকাছে আসতে পারেননি, লাভের অঙ্কে। অথচ শ্রীশ্রী বিক্রি করছেন সানস্ক্রিন থেকে চ্যবনপ্রাশ। ওষুধ তো বটেই। তাঁর ভক্ত অগুন্তি, এবং ডিশ টিভির চ্যানেল ‘আনন্দম অ্যাকটিভ’-এ তাঁর গুণগান সর্ব ক্ষণ চলেছে। তবু রামদেব ফার্স্ট হলেন কীসে?
তাঁর ব্যবসা-আগ্রাসনে। ‘বুকঠোকা ভারতীয়’ ব্র্যান্ডটা গড়ে তোলায়। তিনি চাঁছাছোলা, তেড়িয়া ভাষায় আক্রমণ করেন ‘পাশ্চাত্য সভ্যতা’ ছাপ্পা সব ধারণাকে। বলেন, সমকামিতা একটা অসুখ। বলেন, সেক্স এডুকেশন সিলেবাসে থাকা উচিত নয়। বলেন, নেহাত এই দেশের অাইন আছে তাই, তা নইলে ‘ভারতমাতা কি জয়’ বলতে যারা আপত্তি করে, তাদের গর্দান কেটে ফেলতেন। সাধারণ মানুষ প্রাচীন ভারত বলতে যা বোঝে, তার ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হিসেবে রামদেব নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাই তিনি যখন একটা প্রডাক্ট বাজারে আনেন, আসলে বলেন, মাল্টিন্যাশনালগুলো তোমাকে ঠকাচ্ছে। আমি কম দামে এমন জিনিস দিচ্ছি, যাতে এতটুকু ভেজাল নেই, কোনও ক্ষতিকর জিনিস মেশানোর প্রশ্ন নেই। একটা সৎ ও আদ্যন্ত দেশি জিনিস ব্যবহার করবে না? লোকে তাঁকে ভরসা করছে, যেমন ভরসা করে তারা প্রাণপণ নখে নখ ঘষেছে দিনের পর দিন, কারণ রামদেব বলেছিলেন তাতে টাকে চুল গজাবে।
লোকের মনে নেই, বা তারা মনে রাখতে চায় না, বছর পাঁচেক আগে, দিল্লির রামলীলা ময়দানে আন্দোলন করতে গিয়ে, পুলিশের তাড়া খেয়ে, সালোয়ার কামিজ পরে ওড়নায় মুখ ঢেকে মেয়ে সেজে পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন বাবা রামদেব। তাদের জানলেও কিছু এসে যায় না, ২০১৩ সালে উত্তরাখণ্ড সরকার ৮১টা মামলা করেছে হরিদ্বারে পতঞ্জলি যোগপীঠ আর তার সঙ্গী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে— বেনামি লেনদেন, জমি কেড়ে নেওয়া আর ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগে। ২০০৫-এ বৃন্দা কারাত অভিযোগ করেছিলেন দিব্য ফার্মেসি-র ওষুধ তৈরিতে জন্তু ও মানুষের হাড় ব্যবহার হয়, তার পর নাকি স্যাম্পল টেস্ট করে দেখা গিয়েছিল তা সত্যি, কিন্তু স্যাম্পলগুলো সরকার সংগ্রহ করেনি বলে অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হল— সে তো কেউ জানেই না। আসল কথা, রামদেব নিজের ইমেজকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছেন, মানুষ তাঁকে ব্যবসায়ী ভাবে না, ধর্মগুরু ভাবে, যোগী ভাবে। পতঞ্জলির এটাই ইউএসপি: ব্যবসার সঙ্গে ভক্তিকে নিপুণ মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইমামি বা ডাবরের মালিককে তো আর জনগণ প্রণাম করে না!
পতঞ্জলি আশ্রমে সাদা পোশাক পরে (এখানকার ইউনিফর্ম) প্রায় যন্ত্রের মত কাজ করছেন শয়ে শয়ে মানুষ (প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোক কাজ করেন অফিসের বিভিন্ন দায়িত্বে, কারখানায় অন্তত ১৫ হাজার), যাঁরা প্রায় শব্দহীন। আশ্রমের পলিসি গোয়েন্দা অফিসের মতো, কেননা স্বয়ং আচার্য বালকৃষ্ণ ছাড়া কেউ একটি ব্যাপারেও মুখ খুলবেন না।
মুখ খোলা তো দূরের কথা, একটা ফোটোও তুলতে দেবেন না রামদেবের ভাই, বছর আটত্রিশের রাম ভারত, যাঁকে বলা হয় আসলে এই সংস্থার সিইও। তিনি অবশ্য বলেন, ও-সব বাজে কথা, তিনি সামান্য ‘সেবক’। আগের বছর মে মাসে পতঞ্জলি ফুড পার্কের কর্মীদের সঙ্গে হরিদ্বার ট্রাক ইউনিয়নের সদস্যদের যে প্রবল মারামারি হয়েছিল, গুলি চলেছিল, যাতে এক ট্রাক-চালক মারা যান ও অনেকে আহত হন— অনেকে বলে, রাম ভারত-ই সেই গন্ডগোলের পান্ডা। হাজতেও যান। তাতে অবশ্য সংস্থায় তাঁর প্রতিপত্তি এতটুকু কমেনি। সব প্রডাক্টের গুণমান যাতে ঠিক থাকে, তা নিশ্চিত করতে চরকিপাক খাচ্ছেন সারা দিন।
বালকৃষ্ণ অবশ্য কথা বলতে রাজি। তাঁর ঘরে কোনও কম্পিউটার নেই, শুধু অজস্র দেশি বিদেশি খেতাব আর মানপত্র সাজানো। দেওয়ালে ঝুলছে দুটি বিশাল থাঙ্কা পেন্টিং। দুহাতে চারটে ফোন সামলাচ্ছেন তিনি, দর্শনার্থীর লাইন যতিহীন। ‘আমরা তখন দিব্য ফার্মেসি তৈরি করে টিমটিম করে কাজ করছি। সালটা ২০০৪। এক দল চাষি এসে আমাদের কাছে পরামর্শ চাইল। সে বার আমলকি ফলেছে প্রচুর, এ দিকে বাজারে অত চাহিদা নেই। তারা ভাবছে সব গাছ কেটে অন্য কোনও চাষ শুরু করবে। বাবা বললেন, আমি সমস্ত আমলকিটাই কিনে নেব। জুস বানাব। আমরা হাঁ-হাঁ করে উঠলাম, আমলকির জুস কেউ খায়? মোরব্বা খায়, আচার খায়, কিন্তু জুস! রামদেব শোনেননি। বলেছিলেন, আমলকির অনেক গুণ। মানুষ যদি সহজেই সেই গুণটা এক ঢোঁকে পেয়ে যায়, তা হলে ঠিকই খাবে। ঝুঁকি নিয়েছিলাম আমরা। সমস্ত পুঁজি নিয়োগ করে প্রায় ৫০০ টন আমলকি কিনে বানানো হয়েছিল জুস, পঞ্জাব অ্যাগ্রো সংস্থাকে দিয়ে। প্রথমে তাদের পুরো টাকা দিতে পারছিলাম না। কিন্তু আস্তে আস্তে সব বোতল বিক্রি হয়ে গেল। এর পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি।’
কথা থামল গম্ভীর ঘণ্টাধ্বনিতে। শুরু হবে যোগপীঠের ক্লাস। হরিদ্বারের সন্ধ্যারতি ছেড়ে মানুষ কাতারে কাতারে ভিড় করছেন সদ্ভাবনা ভবনে। রোদ পড়ছে, সূর্য ডুবছে। কিন্তু সেটা নিছকই রুটিন সূর্যাস্ত। তাকে পাত্তা দেওয়ার কোনও কারণ দেখছি না।
পতঞ্জলি সাম্রাজ্যের সূর্য এখন মাঝ-আকাশে!