মোঃ আব্দুল হাফিজ
সাময়িকী.কম
সোঁদা মাটির মোহময় গন্ধ
একটু দুরেই বিস্তৃত পাটক্ষেত
পাতায় পাতায় ভুঁঞা পোকার
ধীর গতিতে চলাফেরা
যেন সহিষ্ণু হতে শেখায়
আর ডেকে বলে –
এসো আমাদের সাথে খেল
সামাজিক জ্ঞান অর্জন কর।
কর্দমাক্ত পথ পেরিয়ে ছোট একটা
গাছের গুঁড়ি যেখানে পিঁপড়েরা সারিবদ্ধ হয়ে খাদ্য সঞ্চয়ে ব্যস্ত
“পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি “
প্রবাদটি মনে করিয়ে দেয়।
দু’পাশে ধানী জমি
মাঝে মাঝে আইল
অজগরের মতো এঁকেবেঁকে জমির মালিকানা আলাদা করেছে।
কিছুদূর এগিয়ে শালিকের ওড়াওড়ি খেলা
প্রাণবন্ত মাতলামিতে বিষন্নতার অবসান
দিগন্ত পেরিয়ে আকাশ আর জমিনের সহবাস
একে অপরকে ছোঁয়াছুঁয়ির খেলা
ভালবাসা জাগায় প্রাণে প্রাণে।
হতভম্ব আকাশের বিশালতায়
কোথায় শেষ তার
করেছে কে সৃষ্টি?
নিপুণ হাতের ছোয়ায়!
দেহে এনেছে আত্মা
আত্মায় এনেছে প্রাণ
বিশাল মাঠের শেষপ্রান্তে
হাওড় বাওড়
প্রান্তে প্রান্তে কাশফুলের নাচানাচি
এ যেন মহামায়ায় ভরা স্বর্গের হাতছানি
বোধোদয়!
প্রকৃতির কাছে মাথা নোয়ানো
প্রকৃতিই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।
বেনাপোল