বিশ্বে প্রতিবছর ২ লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়

ফয়সাল কবির
ফয়সাল কবির - ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
2 মিনিটে পড়ুন

সাময়িকী.কম

child cancer বিশ্বে প্রতিবছর ২ লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়

ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সারের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে প্রতিবছর ২ লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে এই হার প্রায় ৬ হাজার উল্লেখ করে জীবন হরণকারী এ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে শিশু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা আহবান জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার সচেতনতা মাস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ অনুষ্ঠিত এক র‌্যালী থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। ইউকে এইড-এর অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সার’ এ র‌্যালীর আয়োজন করে। ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর প্রায় ৮০ শতাংশই মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে, যেখানে ক্যান্সার আক্রান্তদের বেঁচে থাকার হার মাত্র ৫ ভাগ। অথচ উন্নত দেশগুলোতে এই হার ৮০ ভাগ। বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সারের হেড অব অপারেশনস লিজ বার্নস, বিএসএমএমইউ-এর শিশু ক্যান্সার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইয়াকুব জামাল, ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সার ইউকের পিয়েরা ফ্রেসেরো ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সার বাংলাদেশের প্রকল্প প্রধান অধ্যাপক আফিকুল ইসলাম ও প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর রিজওয়ানা হোসেন এবং বিএসএমএমইউ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও অন্যান্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের শিশু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা এ র‌্যালীতে অংশ নেন। ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সার বাংলাদেশের প্রকল্প প্রধান অধ্যাপক আফিকুল ইসলাম বলেন, ক্যান্সার নিয়ে আমাদের মনে একটা ভীতি রয়েছে যে, ক্যান্সার হলেই আর বাঁচানো যাবে না। কিন্তু প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেলে এ রোগী ভাল হওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ শনাক্ত করা গেলে ও উন্নত চিকিৎসা পেলে ৭০ শতাংশ রোগী সেরে উঠতে পারে কিন্তু মাত্র ২০ শতাংশ রোগী উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পায়। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৩ থেকে ১৫ লাখ শিশু ক্যান্সার রোগী রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০০৫ সালে ক্যান্সারে মৃত্যু হার ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এখনই সচেতন না হলে ২০৩০ সালে মৃত্যুহার বেড়ে ১৩ শতাংশে পৌঁছতে পারে। ইউকেএআইডি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সার প্রকল্পের মূল কেন্দ্র বিএসএমএমইউ এবং স্যাটেলাইট কেন্দ্রগুলো হলো জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটউট ও হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, এমএজি ওসমানি মেডিক্যাল কলেজ এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ। আরো একটি স্যাটেলাইট কেন্দ্র শিগগির এ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হবে। বিদ্যমান কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে ক্যান্সারে আক্রান্ত ১ হাজার ৮১০ জন শিশুকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং ১ হাজার ৪৪৩ জন চিকিৎসককে সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। সূত্র: বাসস

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
অনুসরণ করুন:
কর্মজীবী এবং লেখক
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!