আজিম আকাশ
সাময়িকী.কম
সাময়িকী.কম
চলৎ চলৎ
চলৎ চলৎ চরণ তব চপলা যখন
চন্দ্রালোকে ভরে মন ঐ রূপ দর্শন;
দুরু দুরু করে মন শুধু আনচান
মিটে না পিয়াস তবুও কিছুতেই
শত দর্শনে ঐ অনিন্দ্য চাঁদবদন।
চাতক পাখির মত সুদূরে দৃষ্টি রয়
তোমার চলন যেন স্মৃতির শ্মশাণ;
যেন তোমার চরণ ধূলি হৃদয়ের
কাঙ্খিত কোন চাতাল উঠান।
চক্রবত পৃথিবীর মেঠো পথ বাঁকে
বেশামাল লাগে তোমার ঠমক;
চলনে তোমার কি যে কারুকাজ
বিমোহিত আঁখিতে ইন্দ্রজালের
মত লাগে অজানা-অচেনা চমক।
চন্দ্রাংশ, চন্দ্রতাপ, কত চাঁদোয়া
তোমার চরণে খায় লুটোপুটি;
যেন আলতা রাঙ্গা দু’টি চরণ
চিরকাল আঁধারকে পেরিয়ে
কেবলই আলোর পথে ছুটোছুটি।
তোমার ক্লান্তিহীন ছুটে চলা
মোর হৃদয়কে করে স্বপ্নাক্রান্ত;
চেয়ে দেখ একবার পিছু ফিরে
কতটা ব্যাকুল হয়ে অধীর চিত্তে
তব প্রেমের তৃষায় কতটা ক্লান্ত—।
সরলতার প্রতিমা
ধরণীর বুকে পৃথিবীর আলো-ছায়ায়
যেদিন এসেছিলে তুমি রিক্ত হস্তে,
জননীর কোলজুড়ে ছিল রাশি রাশি
নীল চাঁদোয়ার কষ্টার্জিত নির্মল হাসি।
যে হাসির আড়ালে লুকানো ছিল
দশ মাস দশ দিন মাতৃ গর্ভে ধারণ-
করার নিদারুন কষ্টের আহাজারি,
কত কষ্ট-কত যন্ত্রনা সয়ে সয়ে
সৃষ্ট্রার ইশারায় ভবে সৃজিলেন যিনি;
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদার আসনে-
অধিষ্ঠিত সেইতো জননী তিনি।
তিনি বিশ্ব জগতের তথা সৃষ্টির
শ্রেষ্ঠতম মহিয়সী এক মানবী-
যেন সরলতার এক মূর্ত প্রতিমা;
স্রষ্টার পরে ভক্তি ও শ্রদ্ধাসহ যাকে
হৃদয়ে স্থান দেয়া যায় সেইতো মা।
পৃথিবীর সমস্ত সরলতা যেন তার
দেহের ভান্ডারে সঞ্চিত রাশি রাশি,
সন্তানের তরে ধরণীর বুকে তিনি
কত কষ্ট-কত লাঞ্ছনা, যন্ত্রনা সয়ে
জীবন যুদ্ধে করেন সংগ্রাম আমরণ;
তব মুখে ফোটাতে একটু চাঁদের হাসি
দু:খকে করেন তিনি সাদরে বরণ।
শত কষ্টকে বুকে মাটি চাপা দিয়ে
বেঁচে থেকেও যেন জীবন্মৃত শ্মশান;
তবু সন্তানের কাছে বিম্বিসার এই
ধরার বুকে পায় না ততটুকু সন্মান।
এসো মোরা তবে, হাতে হাত রেখে-
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, করি সতত পণ;
জননীর প্রতি সন্তানের অধিকার-
নির্দ্ধিধায় করবো প্রতিষ্ঠা, অনুক্ষণ।