সাময়িকী.কম
স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নকশা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে বর্তমান স্ত্রীর এনআইডি থেকে স্বামীর নাম মুছে দেয়া হবে। যোগ হবে বাবা-মার নাম। সম্প্রতি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট কার্ডের নমুনা চূড়ান্তকরণ সংক্রান্ত কমিশনের সভায় এ সিধান্ত হয়। সব কিছু ঠিক থাকলে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ কোটি স্মার্ট কার্ড তৈরির কাজ শুরু করবে ফ্রান্সের ওভারথ্রু কোম্পানি।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নতুন সব কার্ডে শোভা পাবে বাবা-মার নাম। ফলে স্ত্রীর নতুন কার্ডে থাকছে না স্বামীর নাম। এছাড়া অত্যাধুনিক এ কার্ডে নাগরিকের ৪৭টি তথ্য রিডেবল ক্ষুদ্র চিপে সংরক্ষণ করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক এ বিষয়ে বলেন, বিবাহিত নারীর এনআইডিতে স্বামীর নাম লিপিবদ্ধ করা অনেকটা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু বিয়ের পর বনিবনা না হওয়ায় সংসার ভেঙ্গে যায়। দেখা যায় মেয়ের আবার বিয়ে কিংবা সেবামূলক কোনো কাজ করতে গিয়ে ওই পরিচয়পত্রের পরিচয়টি প্রতিবন্ধকতার ঢাল হয়ে সামনে দাড়িয়ে যায়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়ে তাত্ক্ষণিক দিশেহারা হয়ে পড়েন ভুক্তভোগীরা। এ পরিস্থিতি এড়াতে ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে তার বাবা-মার নাম আইডিতে স্থায়ীভাবে লিপিবদ্ধ থাকবে; ঠিক অনুরূপভাবে মেয়েটির ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য হবে।
ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় পরিচয় পত্রে স্বামী কিংবা স্ত্রীর পরিচয় মুখ্য বিষয় নয়। কারণ বিয়ের সূত্রে স্বামী ও স্ত্রীর পরিচয় শুরু হয়। নতুন পরিচয়ে তাদের জীবন শুরু হয়। আর ছবিসহ ভোটার জাতীয় পরিচয়পত্র প্রভিশন চালু করার পর থেকে এ নিয়ে ব্যাপক ঝামেলা দেখা দিয়েছে। এনআইডিতে মেয়েদের ক্ষেত্রে স্বামীর নামটি লেখা অঘোষিতভাবে বাধ্যতামূলক হওয়ায় বিয়ে বিচ্ছেদের পরই শুরু হয় আইডি কার্ড সংশোধন নিয়ে নানা দৌড়ঝাপ। এর জন্য বিয়ে বিচ্ছদের কপি দেয়া, বিয়ের কাবিননামাসহ নানা তথ্য জোগাড় এবং এর পক্ষ্যে বিভিন্ন তথ্য প্রমান জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয় ওই ব্যক্তিকে। এদিকে স্মার্ট কার্ডের নমুনা চড়ান্ত করার ক্ষেত্রে আরও কিছু তথ্য সংযোজন ও বিয়োজন করেছে ইসি। এগুলোর মধ্যে এনআইডির সামনের পাতায় খুব ছোট আকারে নাম লেখা থাকবে এবং এর নিচে পুরো নাম লেখা থাকবে। এনআইডির নম্বর উপরে উচিয়ে জন্ম তারিখ নিচে এবং ক্রমানুসারে বাবা ও মায়ের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।