কবিতাগুচ্ছ || আজাদ বঙ্গবাসী

ফয়সাল কবির
ফয়সাল কবির - ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
4 মিনিটে পড়ুন

আজাদ বঙ্গবাসী
সাময়িকী.কম

stairs to the sunlight কবিতাগুচ্ছ || আজাদ বঙ্গবাসী

সবুজ সাহস ও কালো ঘোড়া 


হয়ত সমুদ্র ভেবে ভয়ের বাড়িতে লাগাচ্ছে কেউ সবুজ সাহস
কেউবা আবার কুলো ব্যাঙ ভেবে মুচকি হাসি
আঁকছে শূন্যের মিউজিয়ামে – নিজস্ব অবহেলায়।

অঙ্কুরের গহীনে কালের কীর্তি আছে কিনা
জানার আগেই কোন কোন কালো ঘোড়ার
খোয়াম নামায়
নামছে পুরুষ নতর্ক আরসব নারী খুনি।

স্বপ্নের সুদূর বুক থেকে সোনার ফসল উঠবেই
মাটির ভেতর স্রোতে হয়ে গেছে ঘোষণা

ভালোবাসার প্রান্তেরা আনমনা হয়ে যায় ফসকে যায় কিনা কালের ছবি
নতুনের চোখে কি মোহে রাতগুলো ঘোমেদের দাঁড় করায় একপায়।

নগদ ছেড়ে যে ভালোবাসা অচ্ছুতে ছড়ায় গোপন সৌরভ
দেখায় সমুদ্রের গহীন অতলের রঙ
তার কি মূল্য

নাই নাই, সেই সবের ব্যর্থ চিন্তার আকাশের মত কোন সীমা নাই।

||

নটকূলে
আঙুল ভালো লাগার স্পর্শ গিললেও
এ অবয়ব গিলছে দুঃখ। নদী আর নোট
ব্যাশ্যার ভূমিকায় অবতীর্ণ হলে, সংসার
জুড়ে বেড়েই চলে বেশাতির ফুল। হায় সবুজ!
তোমরা এক দিন মানুষের জন্য কেদেছিলে
আজ মানুষেরাই তোমাদের জন্য ক্রন্দসী।
চাঁদে মেঘে লুকচুরি মতই একদিন রূপেরা
সুঁইসূতোর ওপারে গোপন আর বোবাই ছিল এতো দিন
অথচ সেই গোপনেরাই আজ স্পর্শে নটকূলে
ব্যকুল।

||

চমক চিৎকারের লোভে

চোখ উল্টে ফেলার ভয়ে
কেন অবুঝের আশা জুড়ে নখরের উড়াল?
ধরে আনো সেই পুরুষের সুখ
সেই নারীর নুনভোগের – চমক চিৎকার
যে দিন শরীর তুফানে আগুনের জিহ্বা
ভুলে গিয়েছিল _ পৃথিবীর প্রথম ক্ষুধায়
ওরা গোপনের কাছে সমর্পিত হলেও
এরা যে প্রকাশ্যের কাছেই উন্মেলিত
কই?  বদলায় নি তো মানুষের সংজ্ঞার্থ।



||

কাবিনবিহী প্রেম 

জলের কারু কাজ ভেঙে যে জল উঠে যায়
মগ্নের নিরাকারে,
তাকে ফেরায় কোন রঙের পিয়াস?

ঐশ্বি বর্ণের ধুল সমবেত ঘোর
কিংবা শুন্যের স্থায়ি গহীনে যে কঠিন 

ডুবে যেতে পারে; সেই তো শুদ্ধ প্রেমিক।

অথচ সর্বভুক বাহুতেই অবুঝ জলের শিল্প হয়ে যায়
সেচ্ছাচারী নদী।

কুহক ধ্বনি মিশ্রিত চিৎকার
অন্ধ বাহুর মোহনায় গান হয়ে ফিরে অনন্ত ডানার
আলোকে।

ইঙ্গিতের গালিচা পাবার আগেই
ফুল ফলের তৃপ্ত সেবার আগেই,
অজস্র চাহনি ছিড়ে কাবিনের সেই পাতা।

পিতার রক্ত,  মায়ের মা চিৎকার, গোল পৃথিবীর 
রহস্য উন্মুচনের আগেই  কুমারী সৌকর্য
প্রেমিকের আগুনে প্লাবিত করছে ভরা মৌসুম। 

কালস্রোত,  মুছনা ওই ধুলোর কণা ওর আড়ে বসেই 

হয়ত কোন এক যুবক যুবতী ; শুনবে শেষ নদীর গান।


||

প্রেমের একটু সময় চাই

বুনো গর্ভে কায়িক ঠোঁট আশ্রিত হতেই
ঢেকির গান লোকসাহিত্যের পাতায় লুকিয়ে রেখে
একপুরুষের সেই বৌগুলো চোখে চোখে তুলে
নিচ্ছে বিজ্ঞাপনের রূপ।

ধর্মালয়ে ধুলোর রাজত্ব মেখে পৃথিবীকে বলছে
তোমার আমার সখ্য অনন্ত কাল।

প্রতিদিনের প্রেম কেদে কেদে ফিরে যায়
মানুষ তবু সংসারকে বলছে না
আমার একটুু প্রেমের সময় চাই
আমার আয়নায় আমাকে দেখতে চাই

সবুজ বৃক্ষ রাজি মৃত্তিকায় দাঁড়িয়ে
মনে বর্ষা আঁকে, সকাল সন্ধ্যা বোবা প্রাণিগুলো
ছটফট করে প্রেমের ক্ষণ চলে যেতে দেখে
অথচ বেভুলো রক্ত মাংশের স্পন্দন
মিথ্যের গায় গা ঘেষে পার করে আগুনের ঠিকানা।

নীল নদের ওই চিঠির সত্য কিংবা
আকাশের ওই ঘরটা হাতের মুঠোয় এনে দিলেও
ওরা বলবেই প্রেমের মৃতরঙে হতে চাইনা মশগোল
এখনো আমার  শরীর ধর্ম হয়নি শেষ।

রক্তের উৎসব থেকে ছিন্ন সমাজ এঁকেই চলছে
অন্ধের জৌলুস।

প্রেমের সরল নদী ভেঙে চতুষপদের আচরণ
কি সাদরেইনা মেখে নিচ্ছে শ্রেষ্ঠ দুই পায়ের জীবন।



||


সুন্দরের আগুনে চোখ পুড়ছি

ফ্রি আছি, তবুও হবে না দেখা
এখনো পাখি গোনা হয়নি শেষ
পাকা ধানেরর ক্ষেত বলছে
মাথার উপর দিয়ে সূর্য ফিরবে গন্তব্যে
সে দৃশ্য না দেখে আমাকে তারা ছাড়বেনা
সজনা গাছটা বলেছে তার পাতার ফাঁকে জোছনা উঠবে
সেই জোছনায় এক যুবতী
হাতের মেহেদি রঙ দেখাবে লজ্জা সরম ফেলে
বৃষ্টি পথটা ধুয়ে দিলেই তোমাদের কোলাহলে ফিরব আমি
দুঃখ করোনা
ওই শহরের বেহায় নদীগুলো দেখতে থাকো
গায়ের বনে সুন্দরের আগুন লেগেছে
এখন আমি সেই আগুনে চোখ পুড়ছি।


||

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
অনুসরণ করুন:
কর্মজীবী এবং লেখক
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!