সাময়িকী.কম
ঢাকা, ৭ আগস্ট : অভিজিত্ রায়, ওয়াশিকুর রহমান এবং অনন্তবিজয় দাশের পর আবার খুন হলেন এক ব্লগার।
রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ান এলাকায় বাসায় ঢুকে নিলয় চৌধুরী (৪০) নামে গণজাগরণমঞ্চের কর্মীকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে গোড়ানের ৮ নম্বর রোডের পানির পাম্পের গলিতে ১৬৭ নম্বর বাসার ৫ তলা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেন, নিলয় আমাদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। নিয়মিত ব্লগেও লিখতেন। জুমার নামাজের পর বাসা দেখার নাম করে কয়েকজন ঢুকে তাকে খুন করে বলে জানান ইমরান।
খিলগাঁও থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর উত্তর গোরানের পাঁচতলা ভবনের এক বাসায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
দুপুরে জুমার নামাজের পর দুই দফায় পাঁচজন ঢুকে নিলয়কে খুন করে। তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিলয়ের মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করে। আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিলয় মারা যান। এসময় খুনীরা নিলয়ের স্ত্রী ও শ্যালিকাকে পাশের ঘরে আটকে রেখেছিল।
|
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত নিলয় চৌধুরী (নীলান্দ্রি চট্টোপাধ্যায়), স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে নিলয় ওই বাসায় থাকতেন। তিনি গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন। ব্লগে লেখালেখির পাশাপাশি তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাহবুবুর রহমান জানান, নিলয়কে খুনীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার সময় বারান্দায় গিয়ে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি।
এদিকে ঘটনাস্থল সরেজমিন পরির্শন করে ডিএমপির ক্রাইম শাখার যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় সাংবাদিকদের জানান, নীল চৌধুরীকে হত্যার ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত। তিনি জানান, দুপুরের নামাজের সময় রাজধানীর বাড়িগুলো সাধারণত শূন্য থাকে। খুনীরা এই সুযোগ নিয়ে নিলয়কে হত্যা করেছে। ৪/৫জন দুর্বৃত্ত এই খুনে অংশ নেয় বলে তিনি জানান।
নিলয়ের ফেসবুক পরিচয় ছিলো জুতাবাবা। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে সে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ে কুরুচি মন্তব্য করেছে। একইসাথে সরকারের মন্ত্রী ও বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দিয়েছে।