সাময়িকী.কম
রাজন হত্যা মামলায় গ্রেফতার মুহিত |
বাংলাদেশের সিলেটে কিশোর রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের কাজে গাফিলতি, অবহেলা এবং অসদাচরণের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
এই তদন্তের ভিত্তিতে দুজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কামরুল আহসান জানান, তিনজন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলা, গাফিলতি এবং অসদাচরণের অভিযোগ পাওয়া যায়। এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাজন হত্যার ঘটনা ফাঁস হওয়ার পরপরই এরকম অভিযোগ উঠেছিল যে মামলার একজন অন্যতম আসামী পুলিশের সহায়তায় সৌদি আরবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। নিহত রাজনের বাবা এমন অভিযোগও করেন যে শুরুতে এই ঘটনার ব্যাপারে মামলা গ্রহণ এবং তদন্তে পুলিশের দিক থেকে গড়িমসি করা হয়।
পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তদন্তে যে কমিটি গঠন করা হয় সেই কমিটি আজ সিলেটের মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান কামরুল আহসানের কাছে রিপোর্ট জমা দেয়।
পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান জানান, এই ঘটনার পর মামলা রুজু, তদন্ত এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন অবহেলা, গাফিলতি বা ত্রুটি-বিচ্যূতি ছিল কিনা, সেটাই এই তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখেছে।
তিনি জানান, তদন্তে তিনজন পুলিশ সদস্যের কাজে ত্রুটি-বিচ্যূতি পাওয়া গেছে। এরা হচ্ছেন ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন, সাব-ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম এবং সাব-ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন। এদের বিরু্দ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, এই তিনজন মামলা রুজু করার ক্ষেত্রে অবহেলা দেখিয়েছেন। রাজনের বাবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন, অসহযোগিতা করেছেন, এসব প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, তদন্ত কমিটি দেখতে পেয়েছে পুলিশ কর্মকর্তারা এই ঘটনাটি সঠিকভাবে না দেখার কারণেই মামলার অন্যতম আসামী কামরুল ইসলাম বিদেশে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
উল্লেখ্য তের বছরের সামিউল আলম রাজনকে গত ৮ই জুলাই সিলেটে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুরো ঘটনাটির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। সূত্র : বিবিসি।