হুমায়ুন আহমেদের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ফয়সাল কবির
ফয়সাল কবির - ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
3 মিনিটে পড়ুন
সাময়িকী.কম
humaiun 295541 হুমায়ুন আহমেদের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ


ঢাকা, ১৯ জুলাই : আজকের এই দিনে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন বাংলা সাহিত্যের নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ। আজ তার তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী।

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুর তিন দিন পর ২৪ জুলাই নিজের গড়া নুহাশ পল্লীর লিচুতলায় শায়িত হন তিনি। মৃত্যুদিনে তাকে স্মরণ করার পাশাপাশি তার সৃষ্টিকেও স্মরণ করবে অনুরাগীরা।

নুহাশ পল্লীতে লেখকের সমাধিস্থলে তার পরিবারের সদস্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু, লেখক, প্রকাশকসহ হুমায়ুন ভক্তরা সকাল থেকেই বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ভিড় জমাচ্ছেন। তারা হুমায়ুন আহমেদের কবর জিয়ারতসহ নানা কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। সাদামাটাভাবেই পালন করা হয়েছে তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী।
একদিন আগেই হুমায়ূন পত্নী মেহের আফরোজ শাওন তার সন্তানদের নিয়ে নুহাশ পল্লীতে এসেছেন। সকালে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে প্রয়াত স্বামীর কবর জিয়ারত করেছেন। সকাল থেকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীসহ অসংখ্য হুমায়ুন ভক্ত নুহাশ পল্লীতে এসে উপস্থিত হয়েছেন।
অনেকেই বলে থাকেন, হুমায়ুন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের অন্যতম প্রধান জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। স্বাধীনতা পরবর্তী শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদকে বাংলা কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যেরও পথিকৃৎ বলা হয়। নাট্যকার হিসেবে যেমন নন্দিত চলচ্চিত্রকার হিসেবেও তেমনই সমাদৃত। বাংলা কথাসাহিত্যের সংলাপ প্রবণে নতুন শৈলীর জনক হুমায়ুন আহমেদের দুই শতাধিক গ্রন্থের বেশকিছু পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তার গ্রন্থ।
বাংলা সাহিত্যের এই প্রবাদ পুরুষের জন্ম ১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ সালে নেত্রকোনা জেলার কুতুবপুর গ্রামে। বাবার চাকরির সূত্রে তার শৈশব কেটেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। দেখেছেন বহু মানুষ এবং তাদের জীবনানুভূতি। এর ফলেই হুমায়ুন আহমেদের লেখায় উঠে এসেছে বাঙালি মধ্যবিত্তের নানা সংকট বিচিত্র জীবনযাপন আর হৃদয়ের টানাপড়েন।
লেখাপড়া বগুড়া জেলা স্কুল, ঢাকা কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও সবকিছু ছেড়ে লেখালেখি নাটক আর চলচ্চিত্র নির্মাণই হয়ে ওঠে তার নেশা ও পেশা।
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : দেয়াল, নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, জোছনা ও জননীর গল্প, বহুব্রীহি, গৌরীপুর জংশন, দ্বিতীয় মানব, মধ্যাহ্ন এবং হিমু-সংক্রান্ত প্রায় ২৪টি সিরিজ উপন্যাস। তার মিসির আলী-সংক্রান্ত উপন্যাসও রয়েছে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে।
আত্মজীবনী : বল পয়েন্ট, কাঠপেন্সিলসহ প্রায় আটটি গ্রন্থ। উল্লেখযোগ্য টিভি নাটক- এইসব দিন রাত্রি, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়, নক্ষত্রের রাত, বহুব্রীহি, আজ রবিবার তারা তিনজন।
চলচ্চিত্র : আগুনের পরশমণি, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, শ্যামল ছায়া, ঘেটুপুত্র কমলা।
কোটি হৃদয়ের ভালোবাসায় সিক্ত হুমায়ুন আহমেদ পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, শিশু একাডেমী পুরস্কার, লেখক শিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন পদক, বাচসাস পুরস্কার, হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক
অনুসরণ করুন:
কর্মজীবী এবং লেখক
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!