সাময়িকী.কম
মুনশি আলিম : সময়ের সাথে পাল্লা করে সরকারের বেতনবৃদ্ধির প্রভূত উন্নতি না হলেও থেমে নেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। ফলে দিনকে দিন কঠিন হয়ে পড়ছে নগর জীবন। বাসের মালিকগণ সহসা ভাড়া বৃদ্ধি না করলেও শহুরে সিএনজি ও রিক্সাওয়ালাদের অপরিকল্পিত ভাড়ার কাছে প্রতিনিয়ত জিম্মি হয়ে পড়ছে সাধারণ নাগরিক।
সিটিকর্পোরেশনের ভাড়ার নির্দিষ্ট তালিকা থাকলেও সিলেটের কোন রিক্সা ও সিএনজিওয়ালারা তা মেনে চলছে না। তাদের দাবি, ‘বর্তমানের সাথে তাল মিলিয়ে ভাড়ার নতুন চার্ট করা উচিত’।
সিলেটে নতুন প্যানেল মেয়র আসার পর থেকে অনেকেই ধারণা করেছিল, এবার হয়ত রিক্সা কিংবা সিএনজি ভাড়ার একটি নির্দিষ্ট তালিকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে টাঙিয়ে দেয়া হবে। তাছাড়া সিটি কর্পোরেশনের উচিত, শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে রিক্সা ও সিএনজির ভাড়ার নির্দিষ্ট তালিকা টাঙিয়ে রাখা। একটি আদর্শ শহরের জন্য এটি একটি মৌলিক পদক্ষেপ। এ ব্যাপারে আলাপ করতে গেলে সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, ‘রিক্সাওয়ালাদের ভোটের কারণেই এগিয়ে থাকে কাউন্সিলর ও মেয়র। তাদের অসন্তুষ্ট করে কোন আইনই মূলত কার্যকর করা হয় না’। ফলে আইন শৃঙ্খলার অবনতি দিনকে দিন অবশ্যম্ভাবি হয়ে ওঠছে।
এ ব্যাপারে প্যানেল মেয়রের সাথে আলাপ করতে গেলে কয়েকবারই তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।