সৈয়দ শরীফ
সাময়িকী.কম
পড়নের প্যান্টটা ছেড়া,
শার্টটা পরিষ্কার করার
অভাবে
ময়লা হয়েছে।
চুলগুলো উশ্কো-খুশ্কো,
তেল না দেয়ার
কারনে একটু
লালচে রং ধরেছে।
কাঁধে ঝোলানো একটা ব্যাগ,
কখনও ডান কাঁধে কখনও
বাম কাঁধে।
কোনো ফেলে দেওয়া বস্তুর
খোঁজে
পথে-
পথে নয়তবা কোনো পার্কে।
চোখে যেন কি ছিলো,
কি বলে?
সেটা সে জানেনা, যখন
কাঁদে কেবল
তখনই তার মনে পড়ে
চোখে একটা সপ্ন ছিলো,
আজ আর নেই।
খোলা আকাশের নিচে
কখনও বা কোনো ফুটপাতে
শোয়ার জায়গাটা ঠিকই
হয়ে যায়
কিন্তু পরের দিন আবার
জায়গা বদল।
আকাশটা যখন পরিষ্কার
থাকে
তখন সেই রাতের
আকাশে অনেক
তারা দেখা যায়।
কিন্তু যখন আকাশ
মেঘলা হয়
তখন সেই রাতের
আকাশে কোনো
তারা দেখা যায় না।
আমার জীবনটাও এরকম।
প্রতি রাতে ঘুম
আসে ঠিকই
তবে পরের দিন
সকালবেলা
গায়ে পড়ে থাকা শার্টের
কলারটা
ভীজে ভীজে লাগে,
মনে হয় একটু
কেঁদেছিলাম।
যাদের বংশপরিচয় কিছুই
নেই,
যারা এতিম তাদের
জীবনটা
কেবল এমনই তাই না।
নয়তো আমার কেউ নেই
কেনো,
পথে-পথে কেনো ঘুরি,
ফুটপাতে
কেনো ঘুমাই।
ঐ ত সেদিন পার্কে বোতল
টোকাচ্ছি,
এক বড়লোকের
একটা মোবাইল
চুরি হয়েছিলো,
আমাকে চোর ভেবে বেধরক
পেটালো।
কেউ আসেনি আমায় ঐ
বড়লোকের
মার থেকে বাঁচাতে,
কেউ বলেনি আমায় ঐ
ছেলেটা
চুরি করেনি।
কেনো মা,
এত কষ্ট আমায়
দিয়ে দূরে আছো।
কেনো বাবা,
তুমিও অভিমান
করে চলে গেছো। আর
হাঁসবোনা
কেঁদেই যাবো, শার্টের
কলার ভেজাবো।
চোর নই তবুও ওদের মত
বড়লোকের
কাছে মার খেয়েই যাবো।
শুধু টোকাই বলে।