সাময়িকী.কম
১৫ জুলাই, চট্টগ্রাম : পাকিস্তান-ভারতের পর দক্ষিণ আফ্রিকাকেও ওয়ানডে সিরিজে হারালো বাংলাদেশ। তৃতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ১৭০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের চমৎকার ব্যাটিংয়ে জয়ের প্রান্তে নিয়ে যায় দলকে। ২৬ ওভার এক বলে এক উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় মাশরাফির দল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পেয়েছিল ৭ উইকেটের সহজ জয়। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে প্রোটিয়াদের আরো নাজেহাল করে বাংলাদেশ পেল ৯ উইকেটের বিশাল জয়।
প্রথম ওয়ানডের মতো সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচেও বৃষ্টির কারণে খেলার দৈর্ঘ্য কমিয়ে আনা হয়েছে ৪০ ওভারে। সাকিব-মুস্তাফিজ-রুবেলদের দারুণ বোলিংয়ে ৯ উইকেটে ১৬৮ রানে শেষ হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। তবে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য নির্ধারিত হয় ১৭০ রান। সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৬.১ ওভারে মাত্র একটি উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নিয়েছে মাশরাফি বাহিনী।
সহজ এই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৫৪ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। দারুণ ব্যাটিং করে সৌম্য চলে গিয়েছিলেন ওয়ানডেতে দ্বিতীয় শতকের কাছাকাছি। কিন্তু ৯০ রান করে ইমরান তাহিরের বলে আউট হয়ে আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে এই আক্রমণাত্মক বাঁ-হাতি ওপেনারকে। এটা সৌম্যর চতুর্থ অর্ধশতক। ৭৫ বলের ঝড়ো ইনিংস খেলার পথে তিনি মেরেছেন ১৩টি চার ও একটি ছক্কা।
অন্য ওপেনার তামিম অবশ্য মাঠ ছেড়েছেন দলকে জিতিয়েই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩১তম অর্ধশতক পূর্ণ করে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৬১ রানে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহটা সম্মানজনক অবস্থানে গেছে ডেভিড মিলার ও জেপি ডুমিনির ভালো ব্যাটিংয়ের কল্যাণে। মাশরাফির শিকারে পরিণত হওয়ার আগে মিলার করেছিলেন ৪৪ রান। ডুমিনি ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২১তম অর্ধশতক পূর্ণ করে আউট হয়েছিলেন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে।
বল হাতে সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মুর্তজা পৌঁছেছেন নতুন উচ্চতায়। আব্দুর রাজ্জাকের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বোলার হিসেবে স্পর্শ করেছেন ২০০ উইকেটের মাইলফলক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪০ ওভারে ১৬৮/৯ (ডি কক ৭, আমলা ১৫, দু প্লেসি ৬, রুশো ১৭, মিলার ৪৪, দুমিনি ৫১, বেহারদিন ১২, রাবাদা ১, অ্যাবট ৫, মরকেল ১*; সাকিব ৩/৩৩, মুস্তাফিজ ২/২৪, রুবেল ২/২৯, মাহমুদউল্লাহ ১/২০, মাশরাফি ১/২৯)
বাংলাদেশ: ২৬.১ ওভারে ১৭০/১ (তামিম ৬১*, সৌম্য ৯০, লিটন ৫*; তাহির ১/৩৭)। দৈনিক যুগান্তর এর সৌজন্যে।