সাময়িকী.কম
১৫ জুলাই : বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অপহৃত দুই সদস্যকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি। বুধবার দুপুরে বান্দরবানের সীমান্তবর্তী জঙ্গল থেকে তাদের উদ্ধার করে।
সেনাবাহিনী এবং বিজিবি যৌথভাবে বান্দরবানের রুমা, থানছি এবং আলীকদম উপজেলার ভেতরে মিয়ানমার-ভারত সীমান্তের ১৩৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র জানায়, সীমান্ত অঞ্চলে অভিযানে বান্দরবানের ৬৯ সেনা রিজিয়নের তত্ত্বাবধানে রুমা বলিপাড়া বিজিবি ব্যাটালিয়ন, অলীকদম বিজিবি ব্যাটালিন, ১৮ প্লাটুন বিজিবি এবং পাঁচ প্লাটুন সেনা সদস্য অভিযানে অংশ নেয়।
বিজিবির মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ জানান, গত ৫ থেকে ১৪ জুলাই টানা অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি মিয়ানমারের দুই অপহৃত সেনা সদস্যকে উদ্ধার করেছে। তারা কোথা থেকে কবে অপহৃত হয়েছিল, কারা তাদের অপহরণ করেছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
এ নিয়ে বিজিবির সদর দপ্তরে বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবির উপমহাপরিচালক খোন্দকার ফরিদ হাসান জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সীমান্তে বিজিবি ও সেনাবাহিনী চার দফা যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে। শেষ দফা অভিযানের সময় মঙ্গলবার তাদের উদ্ধার করা হয়।
কর্ণেল ফরিদ হাসান বলেন, এ ব্যাপারটি মিয়ানমারের বিজিপি ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ওই দুজনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজিপিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের অনুরোধে এবং নিজস্ব ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এ যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও সীমানা সুরক্ষিত রাখার জন্য বিজিবি দেশের অরক্ষিত এলাকাগুলোতে রুটিন মাফিক অপারেশন চালায়। তবে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কারণে এ অপারেশন প্রসঙ্গে বিস্তারিত কিছু জানানো যাচ্ছে না।
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, মিয়ানমারের এ দুজন সেনাসদস্য কোন কমিশন র্যাংকের নয়। তাদের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মত হবে। কক্সবাজারের গন্দুম সীমান্তে তাদের হস্তান্তর করা হবে। তবে দু’দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই মিয়ানমারের এ দুজন সেনাসদস্যের বিস্তারিত পরিচয় জানানো যাচ্ছে না।
এদিকে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ডেপুটি সার্জেন্ট নাইং টুন এবং প্রাইভেট খিন ল্যাটকে কিছুদিন আগে একটি আরাকানী মিলিশিয়া গ্রুপ অপহরণ করে। তাদের বাংলাদেশের সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও তাদের কাছে খবর ছিল। বিষয়টি তারা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকেও জানায়।