সাময়িকী.কম
সাংবাদিক মুকুলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, তার স্ত্রীর করা মামলায় জেলখাটার পর এখন জামিনে মুক্ত সিঁথি বাজিতপুরের নিজ বাড়িতেই এক প্রকার বন্দি দিন কাটাচ্ছেন। সিঁথি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সোজা চলে আসেন বাজিতপুরের নিজ বাড়িতে। গতকাল বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুরের বাড়িতে তিনি বলেন, একটি ছেলের যদি ১০ জন বন্ধু থাকতে পারে তাহলে মেয়েদের ক্ষেত্রে থাকলে দোষ কি? কেন মেয়েদের ১০ বন্ধু থাকতে পারবে না? মুকুলও আমার ভালো বন্ধু।
সিঁথি বলেন, আমি কি কোনো সেলিব্রিটি? আমাকে নিয়ে পত্রিকায় এভাবে লিখতে হবে? আমি কী ড্রেস পরলাম, কী করলাম তাতে অন্যদের কি? আমি প্যান্ট-শার্ট কিংবা গেঞ্জি পরলাম, সেটা কি ওয়েস্টার্ন ড্রেস হয়ে গেল? সেটা যদি হয়, নাজনীন আক্তার তন্বীও তো এক মাস আগে দিল্লিতে গিয়ে ওই রকম ড্রেস পরে পোজ দিয়েছে। তার তো কোনো দোষ হয়নি। আমার কেন হবে? কেন আমার অনুমতি ছাড়া আমার ছবি ছাপানো হলো? মুকুলের প্রসঙ্গ আনতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মেহরুন বিনতে সিঁথি।
তিনি বলেন, মুকুলের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল এটা কি আমার অপরাধ? এ সময় সিঁথির মা রুবিনা আলম বলেন, আমার বড় মেয়ে মিলির ১৮ লাখ টাকা মেরে দিয়েছে এক ব্যক্তি। সে টাকা উদ্ধারে আরেক বন্ধুর মাধ্যমে মুকুলের দ্বারস্থ হয় সিঁথি। এভাবে মুকুল সিঁথির ভালো বন্ধু হয়ে যায়। সিঁথি বলেন, পত্রিকায় বেপরোয়া জীবন উল্লেখ করার বিষয়ে মুকুল জেল থেকে বের হয়ে এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, মুকুলের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল এটা কি আমার অপরাধ? এ সময় সিঁথির মা রুবিনা আলম বলেন, আমার বড় মেয়ে মিলির ১৮ লাখ টাকা মেরে দিয়েছে এক ব্যক্তি। সে টাকা উদ্ধারে আরেক বন্ধুর মাধ্যমে মুকুলের দ্বারস্থ হয় সিঁথি। এভাবে মুকুল সিঁথির ভালো বন্ধু হয়ে যায়। সিঁথি বলেন, পত্রিকায় বেপরোয়া জীবন উল্লেখ করার বিষয়ে মুকুল জেল থেকে বের হয়ে এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেহেরুন বিনতে সিঁথির পিতা ছিলেন একজন ব্যাংকার। পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত আফতাব উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে লেখাপড়া করেন সিঁথি। ২০০০ সালে এসএসসি পাস করেন বেগম রহিমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। বাজিতপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০০২ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা লালমাটিয়া মহিলা কলেজ থেকে অনার্স সহ মাস্টার্স করেন। এরই মধ্যে তার বিয়ে হয় ২০০৯ সালে একজন ব্যাংকারের সঙ্গে। ৫ বছর ধরে সন্তান না হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো।
সিঁথি জানান, গত ২ জুলাই বৃহস্পতিবার তন্বীর মামলায় আত্মসমর্পণ করলে তার স্বামীকে আদালতে ডেকে আনা হয়। তার জিম্মায় জামিনের নথিতে স্বাক্ষর দিতে বললে প্রথমে অনীহা প্রকাশ করলেও পরে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু ৬ জুলাই জামিন হলে সে তার জিম্মায় নিতে অস্বীকার করে। পরে তার মার জিম্মায় জামিন নিয়ে বের হয়ে আসেন।